• ২০২৩ এশিয়া কাপ
  • " />

     

    রিজওয়ানের অপরাজিত ফিফটির সাথে শফিক, ইফতিখারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৫২

    রিজওয়ানের অপরাজিত ফিফটির সাথে শফিক, ইফতিখারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৫২    

    এশিয়া কাপ ২০২৩, সুপার ফোর, কলম্বো (টস-পাকিস্তান/ব্যাটিং)
    পাকিস্তান - ২৫২/৭, ৪২(৪২) ওভার (রিজওয়ান ৮৬*,শফিক ৫২, ইফতিখার ৪৭ পাথিরানা ৩/৬৫, মাদুশান ২/, ওয়েলালাগে ১/৪০ )


    অলিখিত সেমিফাইনালে বৃষ্টি বাধ সেধেছে বারবার; টস হতেই হয়েছে বিলম্ব। খেলার ওভারের সীমা পরিবর্তন হয়েছে দুবার। অবশেষে ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আবদুল্লাহ শফিকের ফিফটির পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ফিফটি ও ইফতিখার আহমেদের সময়োপযোগী ইনিংসে পাকিস্তান পেয়েছে রানের সংগ্রহ।

    গতকাল একাদশ ঘোষণা দিলেও আজ ম্যাচের আগে পাকিস্তানকে অতর্কিতে আনতে হয়েছে দুই পরিবর্তন। ইমাম-উল-হকের জায়গায় একাদশে ঢুকে অবশ্য ৪ রানের বেশি করতে পারেননি ফাখার জামান; প্রমোদ মাদুশানের বলে স্টাম্প খুইয়ে তিনি ফিরলে উইকেটে এসে বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন বাবর আজম। ওপেনিংয়ে নামা শফিক কিছুটা সময় নিলেও বাবর প্রান্ত বদল করতে থাকেন নিয়মিত। অবশ্য আগের ম্যাচে দুর্দান্ত অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সের পসরা সাজিয়ে বসা দুনিথ ওয়েলালাগে আবারও নিজেকে মেলে ধরলে থামতে হয় বাবরকে। দারুণ এক অফ স্পিনে বাবরকে সামনে টেনে এনে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে তাকে ৩৫ বলে ২৯ রান শেষে ফেরান ওয়েলালাগে। থিকশানা-ওয়েলালাগের স্পিন জুটি সেখান থেকে পাকিস্তানকে প্রায় নিশ্চুপ করে ফেললে ২১-তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে দারুণ ছয় মেরে তার পরের বলে ৬৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শফিক। সেখান থেকে হাত খুলতে গেলে পরের ওভারেই কিছুটা খাটো লেংথের বলের ফাঁদে ফেলে ৬৯ বলে ৫২ রান করা শফিককে ফেরান মাথিশা পাথিরানা। উইকেটে এসেই ধুঁকতে থাকা মোহাম্মদ হারিসকে এরপর ফিরতি ক্যাচে শিকার বানিয়ে পাথিরানা শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান শক্তভাবেই। মোহাম্মদ নাওয়াজ এসে এরপর প্রতি-আক্রমণে যেতে চাইলে বলপ্রতি ১২ রানের পর তাকে দারুণ এক ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন থিকশানা। সাথে সাথেই বৃষ্টি আবার বাগড়া দিলে এরপর আর ম্যাচে থাকতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

    বৃষ্টি থামলে খেলার সীমা আরও একবার কমে আসলে উইকেটে থাকা রিজওয়ান-ইফতিখার ম্যাচের ধারা বুঝে খেলতে থাকেন। দুজনেই কিছুটা সময় নিলেও ৪৮ বলে ফিফটি পেয়ে যান রিজওয়ান। ৩০ ওভারে যেখানে পাকিস্তানের রান ছিল ১৩৮, আর দশ ওভার পরে কোনও উইকেট না হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় ২৩৫ রানে! রানের চাকা সচল রাখতে গিয়ে অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে এসে থামতে হয় ইফতিখারকে; আক্রমণে স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করে পাথিরানা তাকে থামান ৪০ বলে ৪৭ রান শেষে। শেষ ওভারে শাদাব খানকেও মাদুশান ফেরালেও ৭৩ বলে ৮৬* রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ১৬-তম ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ক ফেরার পর যখন উইকেটে এসেছিলেন তখন ম্যাচ ঘুরে যেতে পারত যেকোনো দিকেই; এমনকি শ্রীলঙ্কা ফিরেছিলেন দারুণভাবেই। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে শেষদিকে আক্রমণ করে ঠিকই রিজওয়ান তবুও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন পর্যাপ্ত রসদ।