• ২০২৩ এশিয়া কাপ
  • " />

     

    সাকিবের সেঞ্চুরি আক্ষেপ, হৃদয়ের ফিফটির পর নাসুম-মাহেদীতে বাংলাদেশের ২৬৫

    সাকিবের সেঞ্চুরি আক্ষেপ, হৃদয়ের ফিফটির পর নাসুম-মাহেদীতে বাংলাদেশের ২৬৫    

    দল হিসেবে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোর থেকে বাংলাদেশের পাওয়ার কিছু ছিল না। তবে এই এশিয়া কাপের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্পে অন্তত নতুন কিছু যোগ করার সুযোগ ছিল। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই গল্পও পুরোপুরি লেখা হলো না। সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটির পর শেষ দিকে নাসুম-মাহেদীদের চেষ্টায় লড়াই করার স্কোর গড়ল বাংলাদেশ। 

     ব্যর্থতার শুরুটা ওপেনারদের দিয়েই। লিটন দাসের দুঃস্বপ্নের এশিয়া কাপ চলল আজকেও। মোহাম্মদ শামির ভেতরের দিকে ঢোকা দুর্দান্ত বলে বোল্ড হয়ে গেলেন শুরুতেই ডাক মেরে। তানজিদ হাসান তামিম দারুণ তিনটি শটে রোমাঞ্চকর কিছুর আশা জাগাচ্ছিলেন, কিন্তু শার্দুলকে পুল করতে গিয়ে বোল্ড করে বেশি কিছু করতে পারলেন না। এনামুল হক বিজয় শুরু থেকেই নড়বড়ে, শেষ পর্যন্ত পুল করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন ৪ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ এক ওভারেই পর পর দুবার লাইফ পেলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। ১৩ রানে স্লিপে ক্যাচ দিলেন আক্ষার প্যাটেলকে।

    এরপর সাকিব ও হৃদয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। দুজনেই টার্গেট করেছেন স্পিনারদের। হৃদয় তিলক ভার্মার এক ওভারে পর পর দুই ছয় মেরেছেন। সাকিবও আক্ষারকে ছয় মেরে ফিফটি করে ওই ওভারেই মেরেছেন আরেকটি ছয়। পরে মেরেছেন জাদেজাকেও। দুজনের সেঞ্চুরি জুটি হয়ে গেছে। যখন মনে হচ্ছিল ২০১৯ সালের সাকিব আআব্র সেঞ্চুরির স্বাদ পেতেও পারেন, শার্দুলের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড সাকিব ফিরে গেলেন ৮০ রান করে।

    এরপর শামীম হোসেন এসে আবারও স্পিনে আউট ১ রান করে। হৃদয় ফিফটি পেলেন, কিন্তু শামিকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। মনে হচ্ছিল রান খুব বেশি হবে না, তখন জুটি গড়লেন নাসুম ও শেখ মাহেদী। নাসুম ৪৪ করে আউট হলেও মাহেদী ছিলেন শেষ পর্যন্ত, ২৬৫ রান করে থেমেছে বাংলাদেশ।