তামিম-মাহমুদউল্লাহর ওপর চাপ দিতে চান না লিটন
নিউজিল্যান্ডের সাথে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের রেকর্ড এমিনিতে বেশ ভালো। সেই ২০০৮ সালে ঘরের মাঠে কিউইদের ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। আরেকটা নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে অবশ্য দুই দল একই অবস্থায় অনেকটা। দুই দলই বিশ্বকাপের স্কোয়াডের অনেককেই বিশ্রাম দিচ্ছে এই সিরিজে। একরকম পরীক্ষা নিরীক্ষার উপলক্ষ হিসেবেই সিরিজটা দেখা হচ্ছে। অধিনায়ক লিটন দাসও তাই চান, এই সিরিজে সবাই, বিশেষ করে দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ উপভোগ করুক।
তামিম ও মাহমুদউল্লাহর জন্য এই সিরিজটা অনেক দিন পর ফেরাই। তামিম সর্বশেষ আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানদে সিরিজেই সময় নাটকীয়ভাবে অবসরের ঘোষণা দেন। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এশিয়া কাপে চোটের জন্য ছিলেন না, এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফেরার কথা তার সুস্থ হয়ে। সুস্থ থাকলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের দলে থাকবেন। এই সিরিজটা তার জন্য সেই সুস্থতা যাচাইয়ের উপলক্ষ।
মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারটা আলাদা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পারফরম্যান্সের পর বাদ পড়েছিলেন ওয়ানডে দল থেকে। প্রায় ছয় মাস পর আবারও ফিরেছেন জাতীয় দলে। এবার অবশ্য তার সামনে নিজেকে প্রমাণের হয়তো শেষ সুযোগ। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো করতে পারলে খুলে যেতে পারে বিশ্বকপাএর দরজা, নইলে জাতীয় দলের অধ্যায় হয়তো এখানেই শেষ।
লিটন বললেন দুজনকে চাপ দিতে চান না তিনি, 'তামিম ভাই -রিয়াদ ভাই অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছে। আমি দুজনের কারও ওপর চাপ দিতে চাই না। ইন ফ্যাক্ট আমি দলের কারও ওপরেই চাপ দিতে চাই না। আমি চাই সবাই খেল্টা উপভোগ করুক'।
নিউজিল্যান্ডের সাথে অতীত সুখস্মৃতি নিয়েও আলাদা করে ভাবছেন না তিনি। ম্যাচ জিতবেন, এটাই তার চাওয়া।