• নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে বাংলাদেশকে শিক্ষা দিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড

    বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে বাংলাদেশকে শিক্ষা দিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড    

    বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, ৩য় ওয়ানডে, মিরপুর(টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ১৭১, ৩৪.৩ ওভার (শান্ত ৭৬, মাহমুদউল্লাহ ২১, হৃদয় ১৮, মিলনে ৪/৩৪, ম্যাককঙ্কি ২/১৮, বোল্ট ২/৩৩)
    নিউজিল্যান্ড - ১৭৫/৩, ৩৪.৫ ওভার (ইয়াং ৭০, নিকোলস ৫০*, অ্যালেন ২৮, শরিফুল ২/৩২)
    ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী


     

    মিরপুরের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেই জিতল বাংলাদেশ। আর বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে দিয়ে গেল এক শিক্ষা; লোয়ার অর্ডার তো বটেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডার নিয়েও প্রশ্ন তুলে যেন ব্যাটিং দীক্ষাও দিয়ে গেল তারা।

    ১৭১ রানের মামুলি লক্ষ্যে অ্যালেন ও ইয়াংয়ের মধ্য দিয়ে আসে এবারের সিরিজের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। দশম ওভারে অ্যালেনকে থামানোর পরের বলেই ফক্সক্রফটকে ফিরিয়ে দারুণ এক ওভারে হ্যাটট্রিকের আশাও জাগিয়েছিলেন শরিফুল। তবে এই ইনিংসে বাংলাদেশের অর্জন এতটুকুই। নিকোলসকে সঙ্গী করে এরপর অনায়াসেই দলকে গিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ইয়াং। জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে নাসুমের দারুণ এক অফ স্পিনের স্টাম্প খুইয়ে ৭০ রানে থেমেছিলেন ইয়াং। তবে ফিফটি করে দলকে জয় এনেই মাঠ ছেড়েছেন নিকোলস।

    এর আগে অভিষিক্ত জাকির হাসান দ্বিতীয় ওভারেই অ্যাডাম মিলনের ফুল লেংথের বল আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে স্টাম্প খুইয়ে ১ রানেই ফেরেন। পরের ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। উইকেটে এসে ভাল শুরু করেও মিলনের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ১৭ বলে ১৮ রানেই ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়।

    তবে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। শান্তর চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি অন্য প্রান্তে উইকেট আসা যাওয়ার মিছিলে। লকি ফার্গুসনের হালকা লাফিয়ে ওঠা বল ঠেকাতে গিয়ে অবশ্য মুশফিক যেভাবে ফিরলেন তাতে তিনি নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন। বল স্টাম্পে লাগার আগে পা দিয়ে সরাতে না পারলে বল মাঠে পড়ে লাফিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয় ১৮ রানে থাকা মুশফিকের। এসেই ৫০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক পূর্ণ করে মাহমুদউল্লাহও ভাল কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েও তিনিও থামেন ২১ রানে, মিলনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর মাঝেই অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ও ওয়ানডেতে ৪র্থ ফিফটি পেয়ে যান শান্ত।

    অন্য দিকে ভাল শুরু করে হতাশ করে মাহেদী হাসান ফেরেন ১৩ রানে, বোল্টের শিকার হয়ে। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৯৯৮ সালে গড়া রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ততক্ষণে গড়ে ফেলেন শান্ত। তবে ১৬৮ রানের মাথায় কোল ম্যাককঙ্কির বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ৮৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংস শেষে থামেন শান্ত। সেখান থেকে বাংলাদেশ তাদের সংগ্রহের খাতায় যোগ করতে পারে মোটে ৩ রান!