• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    ফখর-ঝড়, বৃষ্টিতে সেমির দৌড়ে টিকে রইল পাকিস্তান

    ফখর-ঝড়, বৃষ্টিতে সেমির দৌড়ে টিকে রইল পাকিস্তান    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান (টস-পাকিস্তান/ফিল্ডিং)
    নিউজিল্যান্ড - ৪০১/৬, ৫০ ওভার (রবীন্দ্র ১০৮, উইলিয়ামসন ৯৫, ফিলিপস ৪১, ওয়াসিম ৩/৬০, ইফতিখার ১/৫৫, হাসান ১/৮২)
    পাকিস্তান - ২০০/১, ২৫.৩ ওভার (ফখার ১২৬*, বাবর ৬৬*, সাউদি ১/২৭)
    ফলাফল - পাকিস্তান ২১ রানে জয়ী (ডিএলএস মেথডে)


     

    নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবুও পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা হেরে বসল এক ফখার জামান ও বৃষ্টির কাছে।


    ৪০২ রানের লক্ষ্যে সাউদি শুরুতেই শফিককে ফেরালেও বাবরকে সঙ্গী করে ফখর খেলছিলেন ম্যাচ জেতার মতই। মাত্র ৩৯ বলেই তিনি ফিফটি পেয়ে গেলে পাকিস্তান দলীয় শতরান পূর্ণ করে ১৫-তম ওভারে! বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই স্পিনারদের তুলোধোনা করে ফখর ভালোভাবেই দলকে ম্যাচে রাখেন। অন্যদিকে বাবরের শুরুটা ঝড়ো হলেও ফিফটি পেতে তিনি পরে খরচ করেন ৫২ বল। তবে সোধি-স্যান্টনারদের ওপর চড়াও হয়ে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়ে ফেলেন ফখর, সেঞ্চুরি পান ৬৩ বলে। পরে বৃষ্টিতে একবার খেলা বন্ধ হলে তখন ডিএলে ১০ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। তবে এরপর ৪১ ওভারে ৩৪২ রানের লক্ষ্য নিয়ে পাকিস্তান আবার মাঠে নামলে হিসাবটাও যেন গোলমাল করে বসেন উইলিয়ামসন; অবশ্য বৃষ্টি যে আবার এত দ্রুত বাগড়া দিবে সেটা হয়ত বুঝেননি। সোধির হাতে বল তুলে দিলে ২৫-তম ওভারে ফখরের কাছে তিন ছয় খেয়ে ২০ রান গুনেন সোধি। এর পরপরই বৃষ্টি নামলে সেখানেই ম্যাচ খুইয়ে ২১ রানে হেরে বসে কিউইরা।


    সাধারণত তিন নম্বরে ব্যাট করলে  এর আগে আজ ডেভন কনওয়ের সাথে ওপেন করেছিলেন রাচিন। ৬৮ রানের জুটির পর কনওয়ে ফিরলে শুরু হয় ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়া জুটির। দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন-উইলিয়ামসন গড়েন ১৮০ রানের জুটি। এই জূটির পথে মাত্র ৮৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন। ওয়াসিমের বলে সৌদ শাকিলের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯৪ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন রাচিন। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল উইলিয়ামসনেরও। বলা ভালো সেঞ্চুরির জন্য খেলেননি উইলিয়ামসন। চাইলে ধীরেসুস্থে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন। কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

    এই দুজনের বিদায়ের পর ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান গড়েন ৫৭ রানের কুইকফায়ার জুটি। গ্লেল ফিলিপস এসে ২৫ বলে খেলেন ৪১ রানের ক্যামিও। মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে ২৬। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর তাদের ঝড়ে কিউইরা তুলেছে ৯৪ রান। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে শাহীন শাহ আফ্রিদির। দশ ওভারে উইকেট শূন্য থেকে দিয়েছেন ৯০ রান, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে স্পেল এটি। এই ঝড়ঝাপ্টার দিকে খানিকটা সফল বলা চলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে। ৬০ রানে পেয়েছেন তিন উইকেট। তবে দিনশেষে ফখরের ঝড়ে আহমেদাবাদ থেকে সেসব নিয়ে আক্ষেপ করে ফিরতে হয়নি পাকিস্তানকে।