তাইজুলের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
১ম টেস্ট, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, সিলেট (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
বাংলাদেশ - ৩১০ ও ৩৩৮
নিউজিল্যান্ড - ৩১৭ ও ১৮১ (মিচেল ৫৮, সাউদি ৩৪, কনওয়ে ২২, তাইজুল ৬/৭৫, নাঈম ২/৪০, শরিফুল ১/১৩)
ফলাফল - বাংলাদেশ ১৫০ রানে জয়ী
৫ম দিন
গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠেই প্রথম জয় তুলে নিয়ে। এবারের চক্রের শুরুটাও হল ঐতিহাসিক এক জয়, সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই; এবার কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় পেল স্বাগতিকরা। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে বাংলাদেশ তাই গড়ল ইতিহাস।
দিনের প্রথম সেশনেই জয় তুলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাতেই দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে সোধিকে সঙ্গী করে মিচেল যেন সেই আশা ভেস্তে দেওয়ার পণ করে নেমেছিলেন। তবে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর তিনি যেন রান বের করার দিকেও মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে যাচ্ছিলেন। সোধি এক প্রান্ত আগলে রাখলে মিচেল সেটাই করতে চাইলে আঁচ করে তার জন্য সেভাবেই সুইপ শটের ফিল্ডার সাজানো হয়। নাঈম ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে সেই ফাঁদেই পা দিলেন মিচেল। ৫৮ রানে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়্যার লেগে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরলে জয় যেন বাংলাদেশের জন্য মনে হচ্ছিল সময়ের বিষয় মাত্র।
তখনই আবার বাধা হয়ে দাঁড়ান সাউদি। মাঠে এসে এমনভাবে ব্যাট করতে লাগলেন যেন উইকেট তার পড়া। ভিভ রিচার্ডসের টেস্ট ছয়ের সংখ্যা ছুঁয়ে পরে ৮৫-তম ছয় মেরে তাকে ছাড়িয়েও গেলেন। তখনই হন্তারকের ভূমিকায় ফিরলেন তাইজুল। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং অনুযায়ী লেংথে এর আগে বল করতে পারেননি; কিছুটা খাটোই ছিল শুরুতে তার লেংথ। এবারও লেংথটা সেরকম হলে তাতে সপাটে ব্যাট চালাতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে থামেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা সাউদি; জাকিরের দারুণ ক্যাচটাও অবশ্য উইকেটটার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য। অন্য প্রান্তে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া সোধিকে ফিরিয়েই এরপর ষোলকলা পূর্ণ করেন তাইজুল। তীক্ষ্ণ ঘূর্ণিতে শর্ট মিড অফের ফাঁদে ফেলে সোধিকে ২২ রানে ফেরালে বাংলাদেশ তাই পেয়ে যায় স্মরণীয় এক জয়।