ফিলিপস-স্যান্টনারের সময়োপযোগী জুটিতে বাংলাদেশের আশাভঙ্গ
২য় টেস্ট, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, মিরপুর (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
বাংলাদেশ - ১৭২ ও ১৪৪ (জাকির ৫৯, শান্ত ১৫, তাইজুল ১৪*, আজাজ ১/৫৭, স্যান্টনার ৩/৫১, সাউদি ১/২৫)
নিউজিল্যান্ড - ১৮০ ও ১৩৯/৬ (ফিলিপস ৪০*, স্যান্টনার ৩৫*, ল্যাথাম ২৬, মিরাজ ৩/৫২, তাইজুল ৩/৫৮, শরিফুল ১/৯)
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
চতুর্থ দিনে ম্যাচ শেষ হতে পারে আঁচ করা গিয়েছিল আগেই, হলও তাই। তবে বাংলাদেশ যে এভাবে ম্যাচ হেরে বসতে পারে সেটা হয়ত অনেকেই ভাবেননি। সেই শঙ্কা সত্যি করে দারুণ দুটো সেশন কাটিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সাথে সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
দিনের শুরু থেকেই উইকেট পড়ার হিড়িক লেগে যায় মিরুপুরের বাইশ গজে। জাকির এক প্রান্ত ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে ঘূর্ণিজালে আটকে একের পর এক বাংলাদেশি ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নের রাস্তা মাপতে বলেন আজাজ-স্যান্টনার জুটি। আজাজের ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে মুমিনুল ফেরার পরপরই শুরু হয়ে যায় উইকেট পতনের মিছিল। স্যান্টনারের বলে পর্যুদস্ত হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরলে তার নিজের পরের ওভারে দীপুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপরের উইকেট দুটোর অবশ্য কোনও ধরনের বিবরণ মেলা কঠিন। আজাজের ফুল লেংথের বলে সপাটে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে বল ভাসিয়ে মিরাজ ফেরার পর রিভিউ নষ্ট করে তিন বলের মাথায় এলবিডব্লিউর শিকার হন নুরুল। ৯ রান করে পরে নাঈম স্যান্টনারের শিকার হলে তাইজুলকে সঙ্গী করে ফিফটি তুলে নেন জাকির। নিঃসঙ্গ সেই লড়াইটা এরপর বেশিক্ষণ চালাতে পারেননি জাকির। পায়ের ওপর আজাজের দেওয়া বল সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে জাকির থামেন ৫৯ রানে। ৪র্থ বারের মত টেস্টে পাঁচ-উইকেট পূর্ণ করে আজাজ এরপর শরিফুলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন ১৪৪ রানে।
বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য দারুণ হয়েছিল। শরিফুলের নিচু হয়ে আসা বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে কনওয়ে শুরুতেই ফিরলে সিরিজে তৃতীয়বারের মত তাইজুলের শিকার হয়ে থামেন উইলিয়ামসন। চা-বিরতির আগে এরপর নিউজিল্যান্ডের আগে চেপে বসেন মিরাজ-তাইজুল জুটি। নিকোলসকে মিরাজ এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে তাইজুলের কাছে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ব্লান্ডেল। উইকেটে ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা মিচেল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে শান্তর দারুণ ক্যাচের শিকার হয়ে থামলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করতে শুরু করে। তবে বাংলাদেশের সেই বিশ্বাস গুঁড়িয়ে দিতে সময় নেননি ফিলিপস-স্যান্টনার জুটি। ফিলিপসের কঠিন একটা ক্যাচ স্লিপে মিস হলে সেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি। সেই সাথে বাংলাদেশে দুটো রিভিউ নষ্ট করলে দুজনেই জয়ের ঘ্রাণটাও পেতে থাকেন। সেই অনুযায়ী রাস্তা বিবেচনা করে দুজন এগিয়ে যান দারুণ সক্ষমতার সাথে। সময়মত বাউন্ডারি বের করে নিয়ে ৪০* রানে ফিলিপস ও ৩৫* রানে স্যান্টনার জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।