• অন্যান্য
  • " />

     

    আইপিএলে এবার দল পাননি যেসব বড় নাম

    আইপিএলে এবার দল পাননি যেসব বড় নাম    

    আইপিএলের এবারের নিলামে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মত অঙ্কের দেখা কম মিলেনি। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সরা মোটা অংকের চুক্তি পেয়েছেন সব রেকর্ড ছিন্নভিন্ন করে। সেই সাথে ড্যারিল মিচেল, আলজারি জোসেফরাও কম যাননি। একইসাথে অনঅভিষিক্তরাও বরাবরের মতো নজর কেড়েছেন। তবে আইপিলেরে নিলামের পর চায়ের কাপে যে বিষয়টা নিয়ে ঝড় বয়ে যায় সেই উপলক্ষ তৈরি হয়েছে এবারও - বড় বড় বেশ কিছু নাম পাননি চুক্তি। সেরকম কিছু বিস্ময়জাগানিয়া নামগুলোই ঘুরে আসা যাক।
     

    স্টিভ স্মিথ

    পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের নাম নিলে হয়ত কোনোভাবেই তার নাম আসবে না। তবে এই প্রজন্মের সেরা ব্যাটারদের তালিকা বানাতে গেলে তার নামটা থাকবে শুরুর দিকেই। সেই স্টিভ স্মিথ এবারও পেলেন না কোনও দল। নিলামের আগের দিনই এটা আঁচ করেছিলেন টম মুডি; হলও তাই। এর পেছনে গত কয়েক মাসে ভারতের মাটিতে স্মিথের ব্যর্থতার দায়টাই হয়ত বেশি। কারণ আইপিলের রেকর্ড বিচার করলে নেহাতই দল না পাওয়ার মত খেলোয়াড় না তিনি। রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসকে তো অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালেও তুলেছিলেন একবার। ১২৮.০৯ স্ট্রাইক রেটে ৩৪.৫১ গড়ে ২৪৮৫ রান; নামের পাশে আছে ১টি সেঞ্চুরি - অভিজ্ঞতার জোরে হলেও স্মিথের দল পাওয়াটাই বোধহয় আরও স্বাভাবিক হত। তবে আইপিলের অনিশ্চয়তার মঞ্চে ভাগ্যটা এবার সুপ্রসন্ন হয়নি স্মিথের।

     

    জশ হেজলউড

    নিলামের আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিস্কার করে দিয়েছিল মে মাসের আগে কোনোভাবেই ছাড়া হবে না সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসারকে। শেফিল্ড শিল্ডের ফাইনাল খেলার পর আবার সন্তানের জন্মের সময় সহধর্মিণীর পাশে থাকার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছিলেন তিনি। কারণ এটাই; এছাড়া আইপিএলে হেজলউডের দল না পাওয়ার আর কোনও কারণ থাকার কথাও নেই। বেঙ্গালুরুর হয়ে রান আটকানোর যে দক্ষতা তিনি দেখিয়েছেন, আর তার দুই সতীর্থ আইপিলের নিলামের রেকর্ড চুরমার করে যেভাবে নতুন চুক্তি পেল তাতে হেজলউডও এবার হয়ত খুব একটা পিছিয়ে থাকতেন না।

     

    ফিল সল্ট

    আগের দিনেই জানতে পারলেন আইপিএলে দল পাননি। পরের দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর যেন সেটার ঝাল মেটালেন ইংলিশ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেয়ে ইতিমধ্যে দখল করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। রেকর্ডের চেয়ে বড় বিষয় যেই ভঙ্গিমায় সেঞ্চুরি দুটো করেছেন! ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সিরিরজ হারাতে বসা ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে রান তাড়ায় জয় এনে দেওয়ার পরের ম্যাচে আবারও অসামান্য এক সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন রেকর্ড সংগ্রহ। শুধু এই দুই ম্যাচই তার সপক্ষে কথা বলতে যথেষ্ট। তবুও গত মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তার রেকর্ড ঘাটলেই তার ১৬০+ স্ট্রাইক রেটটা চলে আসে। সল্টকে নিতে না পারাটা তাই এক অর্থে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোরও ব্যর্থতা।
     

     

    আদিল রশিদ

    প্রথম ইংলিশ হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে আজ র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানেও চলে গেলেন; অথচ আইপিএলে রশিদ পেলেন না কোনও দল। আইপিএলে লেগ স্পিনাররা বরাবরই ভালো করে। আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারিদের মধ্যে তিন জনই লেগ স্পিনার। অথচ রশিদের মত বছরের পর বছর পারফর্ম করে আসা একজন লেগ স্পিনারের কোনও দল না পাওয়াটা কিছুটা বিস্ময়কর বটে।

     

    জশ ইংলিস

    ব্যাট হাতে তার ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস পরিচালনার প্রমাণ মিলেছিল বিশ্বকাপে; এরপর তো ভারতের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথ দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। বিধ্বংসী সেই সেঞ্চুরিটাও মন গলাতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। ইংলিস কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় নজর কেড়ে চলেছেন। বিগ ব্যাশ, ভাইটালিটি ব্লাস্ট - সব জায়গায় তার স্ট্রাইক রেট ১৪০+। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হয়ত সেই পরিসংখ্যানগুলো ঘেটে দেখেননি; তবে ভারতের বিপক্ষে অতি সম্প্রতি যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন সেটাও বেমালুম ভুলে যাওয়াটা বিস্ময়কর বটে।