• বিপিএল
  • " />

     

    চট্টগ্রামে 'তামিম তাণ্ডব', 'ড্রে রাস শো'

    চট্টগ্রামে 'তামিম তাণ্ডব', 'ড্রে রাস শো'    

    বিপিএল ২০২৪
    ১ম ম্যাচ (টস - চট্টগ্রাম/ব্যাটিং)
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ১৯২/৪, ২০ ওভার (তামিম ১১৬, ব্রুস ৩৬, সৈকত ১৮, পারনেল ১/২৭, হোল্ডার ১/২৯, নাসুম ১/৩৩)
    খুলনা টাইগার্স - ১৬৫/৬, ২০ ওভার (বিজয় ৩৫, হোপ ৩১, হোল্ডার ১৮, হোম ৩/২৫, বিলাল ২/১৩, শাকিল ১/১৫)
    ফলাফল - চট্টগ্রাম ৬৫ রানে জয়ী

    ২য় ম্যাচ (টস - কুমিল্লা/বোলিং)
    রংপুর রাইডার্স - ১৫০, ১৯.৫ ওভার (নিশাম ৬৯, সাকিব ২৪, রনি ১৪, মুশফিক ৩/১৮, রাসেল ৩/২০, ফোর্ড ২/৩২)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস - ১৫১/৪, ১৭.৪ ওভার (রাসেল ৪৩*, লিটন ৪৩, অংকন ৩৯, সাকিব ৩/২০, রনি ১/২০)  
    ফলাফল - কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী


    জুনিয়র তামিমের রাজসিক সেঞ্চুরি

    চট্টগ্রামের দেয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছিল, টানা দুই ম্যাচ জয়ের বিকল্প সেই অর্থে ছিল না। যেই ম্যাচ হারলেই বিদায় নিতে হত প্লে-অফের দৌড় থেকে সেই ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম খেললেন ৭০ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। আজ সেটাও ছাপিয়ে ৫৮ বলের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে নিজেকে চেনালেন আলাদা করে। চাপের মুখেও নিজের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরি দিয়ে তামিম দেখালেন, তিনি প্রস্তুত। খুলনার বিপক্ষে চট্টগ্রামের ম্যাচটা যেন অলিখিত কোনও নকআউট লড়াই। টানা চার ম্যাচ জিতে শুরু করা খুলনাকে কে যে এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে সেটা তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি। সেই খুলনাকে এক অর্থে বাড়ির রাস্তা মাপতে হল আজ, বাকি শুধু কিছু গাণিতিক সমীকরণের মারপ্যাঁচ।

    দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনিং সঙ্গীকে হারিয়েও অবিচল ছিলেন তামিম। ৩২ বলে ফিফটি করেও পরের ২৬ বলে পেলেন পরের পঞ্চাশ রান। টম ব্রুসের সাথে শতরানের জুটিতে শেষ দিকে তো রীতিমত তাণ্ডব চালালেন। দুজনে মিলে আরিফ আহমেদের ১৮তম ওভারে নিলেন ২১ রান! শেষমেশ পারনেলের কাছে স্টাম্প খুইয়ে ৬৫ বলে ১১৬ রান শেষে থামলেও শেষ ওভারে শেফার্ড ও শুভাগত মিলে ১৫ রান নিলে সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি খুলনা। নিজেদের ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসেও তাদের রান ছিল মোটে ১১৫, সেটাও ৭ উইকেট হারিয়ে। ম্যাচের কোনও পর্যায়েই তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। অধিনায়ক শুভাগত হোমের সাথে বিলাল খানের দারুণ স্পেলে চট্টগ্রাম তাই পেয়েছে বড় জয়, সেই সাথে প্লে-অফের টিকিটটাও প্রায় যেন বুঝেই নিয়েছে তারা।

     

    ড্রিম অন, ড্রে রাস!

    আন্দ্রে রাসেল মানেই ধামাকা, আন্দ্রে রাসেল মানেই টি-টোয়েন্টি। নিজেকে মেলে ধরতে সময় নিলেন মাত্র এক ম্যাচ। উড়তে থাকা রংপুরকে মাটিতে নামিয়ে আনলেন আজ ব্যাটে-বলে। বল হাতে নিয়েছিলেন সোহান, মুরস ও তাহিরের উইকেট। তবে ব্যাট হাতে যা করলেন তা বোধহয় শুধু তিনিই পারেন।

    ১৫০ রানের সংগ্রহ নিয়েও রংপুর ছেড়ে কথা বলেনি। আরও একবার বল হাতে উজ্জ্বল সাকিব টেনে ধরেছিলেন কুমিল্লার লাগাম। লিটন ৪৩ রান করলেও ৪২ বল খরচ করে ফেলায় ম্যাচ জমছিল বেশ। তবে ১৪.৩ ওভারে যখন ৩৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস শেষে অংকন ফিরলেন তখনও ম্যাচ যেতে পারে যেকোনো দিকেই। ৩৩ বলে কুমিল্লার তখনও প্রয়োজন ৪৮ রান। সেখান থেকেই চার ওভারের মাঝেই খেলা শেষ! হাসান মাহমুদের করা ১৭তম ওভারে প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকটা রাসেলকে বুঝিয়ে দিয়েই যেন রংপুরের কপালে শনি ডেকে এনেছিলেন। ৩ চার, ২ ছয়ে এরপর ২৪ রান নিয়ে ওখানেই রংপুরের কফিনে পেরেক ঠুকে দেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। মাত্র ১২ বলে ৪৩* রানের ঝড় বইয়ে রংপুরের সাথে প্রথম কোয়ালিফায়ারের টিকিটটাও কেটে দিয়েছেন রাসেল।