"সিমিওনের কৌশল আমার পছন্দ নয়"
এই সান সিরোতেই দুই মৌসুম একসাথে ছিলেন ইন্টার মিলানে হয়ে। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ইতালির ক্লাবটির হয়ে ইউরোপা কাপ জেতার স্মৃতিও রয়েছে দু’জনেরই। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি দু’জনার কারোই। খেলা ছাড়ার পর ডাগআউটের সঙ্গে সম্পর্ক নেই রোনালদোর, কিন্তু সিমিওনে এখনও ছুটছেন সেই চ্যাম্পিয়নস লিগের পেছনেই! আরও একবার যখন স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি সিমিওনে তখনই সাবেক সতীর্থের খেলার ধরন নিয়ে মন্তব্য করলেন রোনালদো।
“সিমিওনে একজন উঁচু মানের ম্যানেজার, কিন্তু তার খেলার ধরন আমার পছন্দ নয়”- চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে কথাগুলো বলছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়। রোনালদোর রিয়ালে কাটানো দিনগুলোতে সিমিওনে ছিলেন মাদ্রিদের আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকোতে; দুই মৌসুম। তখনকার মাদ্রিদ ডার্বির এতোটাই উত্তেজনায় ঠাসা না হলেও ঝাঁঝটা ঠিকই বোঝেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের উনডেসিমা জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা তো সেই পুরনো ‘বন্ধুটিই’!
সিমিওনের সময়ে বদলে যাওয়া অ্যাটলেটিকোকে নিয়ে হিংসায় পুড়ছেন রোনালদো, এমন ভাবার অবশ্য কোনো কারন নেই। একান্ত নিজের মতামতটাই জানিয়েছেন রোনালদো। সিমিওনের মার মার-কাট কাট ফুটবলের ধরনটা ঠিক পছন্দ নয় তাঁর। “আমি আসলে সুন্দর ফুটবলের প্রেমিক”- রোনালদোর কথা। অবশ্য এখানেই থামেননি ব্রাজিলের রোনালদো। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পুরনো দ্বৈরথটা টেনে নিয়ে এলেন সাথে। “সিমিওনে একজন আর্জেন্টাইনের মতোই কঠিন চিন্তা-ধারার মানুষ, খেলোয়াড়দের ভেতর সেই একই শক্তিটা সে সঞ্চার করে। এই জিনিসগুলোই আমার পছন্দ নয়, তবে এটা মানতেই হবে সে খুবই উঁচু দরের একজন কোচ”। খেলা ছেড়েছেন অনেকদিন আগেই, কিন্তু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, রিয়াল-অ্যাটলেটিকো দ্বৈরথগুলো এখনও যে রোনালদোকে শিহরণ জাগায় তা তো এই কথায়ই স্পষ্ট! তা না হলে সিমিওনের খেলার ধরণ ব্যাখ্যা করতে আর্জেন্টিনা টেনে আনবেন কেন! আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ কোচই তো বরং সিমিওনের উল্টো দর্শনে বিশ্বাসী!
তবে শেষ এসে স্তুতি গাইলেন নিজের সাবেক সতীর্থেরও। অ্যাটলেটিকো থেকে সিমিওনের পরের ঠিকানা নাকি ইন্টার মিলানেই- এমন মত দিয়েছেন রোনালদো। “ওর দল ভালো খেলে। তারা তাদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণায় ফুটবলটা খেলে আর ওদের হারানোও খুব কঠিন”- আজকের ফাইনালে জিততে নিজের সাবেক ক্লাবের যে বড় পরীক্ষাই দিতে হবে তেমন সংকেতই দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান।