সকালটা বাংলাদেশের; কামিন্দু-ধনঞ্জয়াতে দিনটা শ্রীলঙ্কার
১ম টেস্ট, সিলেট, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
শ্রীলঙ্কা - ২৮০, ৬৮ ওভার (কামিন্দু ১০২, ধনঞ্জয়া ১০২, করুনারত্নে, খালেদ ৩/৭২, নাহিদ ৩/৮৭, তাইজুল ১/৩১)
বাংলাদেশ - ৩২/৩, ১০ ওভার (জয় ৯*, জাকির ৯, মুমিনুল ৫, বিশ্ব ২/৯, রাজিথা ১/২০)
বাংলাদেশ ২৪৮ রানে পিছিয়ে
১ম দিন, স্টাম্পস
স্বপ্নের মত এক সকাল কাটিয়ে প্রথম দিন থেকেই টেস্টের পাল্লা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। অথচ দিন যত গড়াল, প্রথম দিনের চাবিটা ততটাই হাতের মুঠো গলে বেরিয়ে গেল বাংলাদেশের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার সেই প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাত ধরে; অভিষিক্ত কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গী করে বাংলাদেশকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ম্যাচে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন। শেষ বিকেলে দারুণ এক স্পেলে এরপর বিশ্ব ফার্নান্দো যেন ষোলকলা পূর্ণ করলেন শুধু।
অথচ সিলেটের আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে বাইশ গজে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছিলেন খালেদ আহমেদ। ঘরের মাঠে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছিলেন এই পেসার। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই নিশান মাদুশকাকে ফেরানোর পর শ্রীলঙ্কার তর্কসাপেক্ষে সেরা টেস্ট ব্যাটার দিমুথ করুনারত্নেকেও এগারতম ওভারে ফেরান খালেদ। দুর্দান্ত এক বলে তার স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর কুশল মেন্ডিসকেও বাড়ির পথ দেখান তিনি। খালেদের দুর্দান্ত স্পেলে খাবি খাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপদ বাড়ে কিছুক্ষণ পরেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ রান আউট হয়ে থামায়। লঙ্কানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রসারিত করে দীনেশ চান্ডিমালকেও ফেরান এরপর শরিফুল ইসলাম। ১৬.২ ওভারেই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ড বলছিল ৫৭-৫! তবে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু তাদের। প্রতি-আক্রমণে শুরু থেকেই নিজেদের ব্যাটিং মনোভাবটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন ধনঞ্জয়া-কামিন্দু; প্রথম সেশনেই চাপের মুখে দুজনে মিলে দলকে নিয়ে যান ৯২ রানে।
পরের সেশনে তো দুজনকে দমানো গেল না কোনোভাবেই। অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বিরক্ত করেই দুজনে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন সেই সেশন।