পেসারদের দাপট, করুনারত্নের ফিফটিতে চালকের আসনে শ্রীলঙ্কা
১ম টেস্ট, সিলেট, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
শ্রীলঙ্কা - ২৮০ ও ১১৯/৫ , ৩৬ ওভার (করুনারত্নে ৫২, ধনঞ্জয়া ২৩, ম্যাথিউজ ২২, নাহিদ ২/৪২, মিরাজ ১/৫, তাইজুল ১/১২)
বাংলাদেশ - ১৮৮ (তাইজুল ৪৭, লিটন ২৫, খালেদ ২২, বিশ্ব ৪/৪৮, কুমারা ৩/৩১, রাজিথা ৩/৫৬)
শ্রীলঙ্কা ২১১ রানে এগিয়ে
২য় দিন, স্টাম্পস
প্রথম দিনের দাপট জারি রেখে দ্বিতীয় দিনে টেস্টের চালকের আসনে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান পেসারদের দাপটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পরে লঙ্কানদের ঝক্কি পেরুতে হলেও বড় লিড নিয়ে টেস্টে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।
গতকালের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর সকালের সেশনেও বাংলাদেশি ব্যাটাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আজ। আগের দিনে মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেও আজ বেশিক্ষণ সেই লড়াই জারি রাখতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ১২ রানেই কুমারার শিকার হয়ে ফেরার পর শাহাদাত হোসেন দীপু বাইশ গজে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তিনিও লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। স্রোতের বিপরীতে বরং দেয়াল হয়ে ছিলেন নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। অন্য প্রান্তে যোগ দিয়ে দারুণ শুরু করে লিটনও ব্যর্থ হলে এই বাঁহাতি স্পিনারকেই দলের হাল ধরতে হয়। সিলেটের উইকেটের সবুজ কিছুটা মিইয়ে এলেও লঙ্কান পেসারদের সামলাতে যেন রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
সেই ধকলটা লিটনের মাঝে দেখা না গেলেও নিজের অফ ফর্মের প্রতিফলনটা যেন আরও একবার মিলল লিটনের ব্যাটে। সপ্রতিভ ব্যাটিং করতে করতেই হুট করে মনোযোগ হারিয়ে কুমারার বলে স্টাম্প খুইয়ে তিনি থামেন ৪৫ রানের ইনিংস শেষে। লাঞ্চের আগেই তাই ছয় উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের আশা বলতে শেষ পর্যন্তও ছিলেন মিরাজ। তবে লাঞ্চের পর সেই মিরাজকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা তাইজুল ইসলামের ক্যারিয়ার সেরা ৪৭ রানের ইনিংসটাই মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের। সেই সাথে বল হাতে দারুণ করা খালেদ আহমেদ ব্যাট হাতেও দেখিয়েছিলেন জাদু। ১৫০ রানের মধ্যেই যখন বাংলাদেশের গুটিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তখন খালেদের ২ ছয়, ১ চারে সাজানো ২৮ বলে ২২ রানের ইনিংস