আরও একটি বড় পরাজয়ের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ
২য় টেস্ট, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (টস-শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
শ্রীলঙ্কা - ৫৩১ ও ১০১/৬, ২৪ ওভার (ম্যাথিউজ ৩৯*, মাদুশকা ৩৪, হাসান ৪/৫১, খালেদ ২/২৯)
বাংলাদেশ - ১৭৮ (জাকির ৫৪, মুমিনুল ৩৩, তাইজুল ২২, আসিথা ৪/৩৪, কুমারা ২/১৯, বিশ্ব ২/৩৮)
শ্রীলঙ্কা ৪৫৫ রানে এগিয়ে
৩য় দিন, স্টাম্পস
সাগরিকায় প্রথম দিন থেকেই যেন রম্যরচনার কোনো সংকলনের পাতা খুলে বসেছে বাংলাদেশ। ব্যত্যয় ঘটল না আজও। তৃতীয় দিনে অবশ্য শেষ বিকেলে স্বাগতিকরা প্রথমবারের মত লড়াইয়ের আভাস দিলেও দিন শেষে বিশাল লিড নিয়ে আরও একটি বড় জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
গত দিনে এক উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশের আজ আশা ছিল ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহকে টেক্কা দেওয়ার। শুরুটাও আশানুরূপ হয়েছিল। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল আরও একবার নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলে জাকিরও নিজেকে মেলে ধরেন। নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ের সুনাম ধরে রেখে ফিফটিও পেয়ে যান তিনি। তবে ফিফটির পরপরই বিশ্বের দুর্দান্ত এক বলে কিছুই করতে পারেননি তিনি। পাটা ওই অর্থে নাড়াননি জাকির, তবে দেরিতে ভেতরে ঢোকা বলটার কোনো জবাবই ছিল না ৫৪ রান করে দীর্ঘ সময় উইকেটে কাটানোর পরেও।
ওখানেই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশি ব্যাটারদের আসাযাওয়ার মিছিল। আরও একবার হতাশ করে এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট উপহার দিয়ে আসেন প্রবথ জয়সূরিয়াকে। শর্ট মিডে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে শান্ত ফিরলে তার দেখাদেখি তাইজুলের মনসংযোগেও যেন চিড় ধরে। অবশ্য বিশ্বের আরেকটি ভেতরে ঢোকা বল যে তিনি পড়তে পারবেন না সেটাও অস্বাভাবিক না। ২২ রানে তাইজুলের লড়াই থামলে এরপর মাটি কামড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন মুমিনুল।.
অবশ্য অন্য প্রান্তে উইকেটের হিড়িক পড়ে যাওয়ায় তার প্রচেষ্টাটাও অতটা সুসংহত হয়নি। বহুদিন পর টেস্টে ফিরে সাকিব সুবিধা করতে পারেননি। ভেতরে ঢোকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করে ১৬ রানে ফিরেছেন এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে। লিটন আরও একবার ম্যাচের গতি বোঝার আগেই স্লিপ কর্ডনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। লাহিরুর হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল পড়তে না পেরে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন দীপু। আর মিরাজ তো রীতিমত যেন কোনো বিনোদনদায়ী চরিত্র। পরিস্কার এলবিডব্লিউ হয়েও রিভিউ নিয়ে শ্রীলঙ্কানদের আরও এক দফা বিনোদনই দিলেন কেবল। ব্যাটিংয়ের লেশমাত্র স্পৃহা কারও মাঝে দেখতে না পেয়ে মুমিনুলও যেন লড়াইয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। ৪০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক ছুঁলেও আসিথার ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করে তিনি ফেরেন ৩৩ রানে রানে। দুই ওভার পরেই খালেদও বোল্ড হলে টানা পঞ্চম বারের মত টেস্টে দুইশোর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় ডোবে বাংলাদেশ।