• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রিয়ালের উনডেসিমা এবং ফাইনালের ময়নাতদন্ত

    রিয়ালের উনডেসিমা এবং ফাইনালের ময়নাতদন্ত    

     

    টাইব্রেকারের স্বপ্নভঙ্গ

    দুই বছর আগে সার্জিও রামোসের শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। এবার হলো শেষ কিকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁর শট জালে জড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ফেটে পড়লেন উল্লাসে, লা উনডেসিমা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। নিয়তির কী অদ্ভুত পরিহাস, যে হুয়ানফ্রানের দুর্দান্ত এক ক্রসে ম্যাচে ফিরেছিল অ্যাটলেটিকো, তিনিই টাইব্রেকারের একমাত্র পেনাল্টি মিস করলেন। মঞ্চটা রোনালদোর জন্য সাজানো ছিল, সুযোগটা নষ্ট করলেন না। চার বছর আগে বায়ার্নের কাছে টাইব্রেকারে হারের দুঃখটাও একটু হলেও ভুলল রিয়াল।  

     

    এলেন, দেখলেন, জয় করলেন

    জিনেদিন জিদানের প্রথম মৌসুমটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। যখন হাল ধরেছিলেন, রিয়াল তখন খাবি খাচ্ছে। লা লিগায় কাছাকাছি গিয়েও জেতাতে পারলেন না। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা যে অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য! কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মিগুয়েল মিনোজের পর কেউ দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেন। এই প্রথম ফ্রান্সের কোনো কোচও এই ট্রফি জিতলেন। আর জিদান অনুচ্চারে জানিয়ে দিলেন, ডাগআউটে তিনি থাকতেই এসেছেন। 

     

    পারলেন না অবলাক

    মাচের শুরুতেই দুর্দান্ত একটা সেভ করেছিলেন। রামোসের শট একবার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আরও একটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু যখন পরিস্থিতির দাবি সবচেয়ে বেশি, তখনই সেটা মেটাতে পারলেন না। টাইব্রেকারে রিয়ালের একটা শটও ঠেকাতে পারেননি। ইয়ান অবলাকের রাতটা তাই ভুলে যাওয়ার মতো হলো। 

     

    হলো না সিমিওনে

    পুরো ম্যাচে যা যা করা দরকার, সম্ভাব্য সবকিছুই করেছিলেন। প্রথমার্ধে রামোসের গোলে যখন রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায়, দ্বিতীয়ার্ধে অগাস্টিন ফার্নান্দেজকে তুলে বদলি হিসেবে নামিয়েছিলেন ইয়ানিক কারাসকোকে। সেই কারাসকোই ৭৮ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান অ্যাটলেটিকোর হয়ে। ম্যাচের অর্ধেক সময় না খেলেই সম্ভবত মাঠের সেরা খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন কারাসকো। প্রথমার্ধে ফার্নান্দো তোরেস একটা পাসও শেষ করতে পারেননি। কেন তোরেসকে তুলে নেওয়া হচ্ছে না, সেই গুঞ্জন যখন উঠতে শুরু করেছে, দ্বিতীয়ার্ধে সেই তোরেসই পেনাল্টি এনে দিলেন অ্যাটলেটিকোকে। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকমও হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবারও আফসোসে পুড়তে হলো সিমিওনেকে। ১৯৬৪ সালে হেলেনিও হেরেরার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি অধরাই হয়ে রইল কোনো আর্জেন্টাইন কোচের।


     

    এবং গ্রিয়েজমান

    এই মৌসুমে এর আগেই কেইলর নাভাসের বিপক্ষে একটা পেনাল্টি মিস করেছিলেন। ৪৭ মিনিটে সেই নাভাসের বিপক্ষেই আরও একবার গোল করতে পারলেন না। তবে এবার নাভাস ঠেকিয়ে দেননি, বল ফিরে এসেছে বারে লেগে। ২০১২ সালে আরিয়েন রোবেনের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কেউ পেনাল্টি মিস করলেন।