• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: দুই পরাশক্তির ইউরোপীয় ক্লাসিক

    রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: দুই পরাশক্তির ইউরোপীয় ক্লাসিক    

    ট্রফিসংখ্যার বিচারে তারা থাকবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সেরা দলগুলোর তালিকার একেবারের ওপরের দিকেই। ভিন্ন লিগ আর ভিন্ন ঘরানার ফুটবল খেলা এই দুটো দল যখন মাঠে মুখোমুখি হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিচারে সেটা হয়ে ওঠে অন্যতম সেরা ম্যাচ। আগের ইউরোপিয়ান কাপ আর হালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে খেলেছে এই দুই দলই, আর রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচ মানেই দর্শক-সমর্থকদের জন্য বেশি বেশি তেল-মশলা-ঝাল-লবণে তৈরি এক ঝাঁঝালো তবে সুস্বাদু খাবার।

    চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচের ইতিহাসের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা নাটকগুলোর গল্পই বলেছে দ্য অ্যাথলেটিক।

    মাদ্রিদ-বায়ার্ন ম্যাচ মানেই ইউরোপীয় ক্লাসিক; Image Source: Getty Images

    এই দুই দলের প্রথম দেখা হয় ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে, ইউরোপিয়ান কাপের সেমিফাইনালে। আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটির নাম বায়ার্ন মিউনিখ, আর পূর্বের এক দশক ধরে ট্রফিটা ঘরে তুলতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হয় মাদ্রিদে। ১-১ ড্রয়ে শেষ হওয়া ম্যাচে মাদ্রিদের পক্ষে গোল করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রবার্তো মার্তিনেজ, কিন্তু ওই ম্যাচেই প্রতিপক্ষের করা এক চ্যালেঞ্জে নাক ভেঙে যায় তাঁর। শুধু তাই নয়, ওই ম্যাচের রেফারিং নিয়েও প্রবল আপত্তি ছিল মাঠে উপস্থিত লক্ষাধিক দর্শকের। রিয়াল মাদ্রিদের দু-দুটো পেনাল্টি আবেদন নাকচ করে দেন অস্ট্রিয়ান রেফারি এরিখ লিনমেয়ার। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পরপরই মাঠে নেমে আসেন বিক্ষুব্ধ মাদ্রিদ-সমর্থকেরা, একজন তো ঘুষিও বসিয়ে দেন রেফারিকে।

    দুই সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয় বায়ার্ন মিউনিখ, পরবর্তীতে ট্রফি জিতে টানা তিনবার ইউরোপিয়ান কাপ জয়ের স্বাদটাও পায় তারা। ওদিকে দর্শকদের অশোভন আচরণের জন্য উয়েফার শাস্তির খাঁড়ায় পড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার পরবর্তী মৌসুমের হোম ম্যাচগুলো বার্নাব্যুতে খেলতে না পারার শাস্তি পেতে হয় তাদের। ভ্যালেন্সিয়া আর মালাগার মাঠেই তাই ‘৭৬-’৭৭ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচগুলো খেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

    ১১ বছর পরের কথা। ইউরোপিয়ান কাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে ইউরোপের এই দুটো সেরা দল আবারও মুখোমুখি। তবে এই লড়াইয়ের উত্তাপ বেড়ে গিয়েছিল মাঝে অনুষ্ঠিত দুটো ‘প্রীতি’ ম্যাচের সুবাদে।

    ১৯৮০-এর গ্রীষ্মে, মিউনিখে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ৯-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন মিউনিখ। পরের বছরই, সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ট্রফি নামক এক বার্ষিক প্রি-সিজন টুর্নামেন্ট খেলতে মাদ্রিদে যায় বায়ার্ন। টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বায়ার্ন খেলোয়াড় কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি দিনামো তিবলিসি। অভিযোগ ছিল, দর্শকদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন রুমেনিগে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান বায়ার্ন খেলোয়াড়রা, প্রতিবাদে মাঝবিরতির আগেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সবাই। স্প্যানিশ পত্রিকাগুলো ব্যাপারটাকে ভালোভাবে নেয়নি, শ্বেতশুভ্র মাদ্রিদের ‘লস ব্লাঙ্কোস’ নামের বিপরীতে বায়ার্ন মিউনিখের নামকরণ করা হয় ‘লা বেস্তিয়া নেগ্রা’ (দ্যা ব্ল্যাক বিস্ট)। তবে এই দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো তীব্র হয় ১৯৮৭ সালের ইউরোপিয়ান কাপের সেমিফাইনালে।

    সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ছিল মিউনিখে। ঘরের মাঠে ৩৭ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এরপরই এক কাণ্ড করে বসেন মাদ্রিদের মিডফিল্ডার হুয়ানিতো। মাটিতে পড়ে থাকা বায়ার্ন খেলোয়াড় লোথার ম্যাথাউসের মাথায় দুবার লাথি মেরে বসেন তিনি, ফলাফলে দেখেন লাল কার্ড। রিয়াল মাদ্রিদের তৎকালীন গোলরক্ষক পাকো বুয়ো ঘটনাটিকে উল্লেখ করেছেন ‘নিখাদ পাগলামি’ হিসেবে।

    ম্যাথাউসকে লাথি মারছেন হুয়ানিতো; Image Source: Getty Images

    “হুয়ানিতো যেটা করেছিল সেটা একেবারেই ক্রীড়াসুলভ নয় এবং অবশ্যই নিন্দনীয়,” বুয়ো বলেন, “ কিন্তু এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে চেন্দো-এর (রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার) ওপর লোথার ম্যাথাউসের জঘন্য ট্যাকলের মাধ্যমে। খুবই বাজে একটা ট্যাকল ছিল। রেফারি হুয়ানিতোকে লাল কার্ড দেখিয়ে ঠিক কাজই করেছেন, কিন্তু ম্যাথাউসকেও লাল কার্ড দেখানো উচিত ছিল।”

    পরবর্তীতে, স্প্যানিশ পত্রিকা এএসের এক মিটিংয়ে ম্যাথাউসকে ‘স্যরি’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন হুয়ানিতো। ম্যাথাউসও মেনে নেন ব্যাপারটা। তবে তাতে হুয়ানিতোর শাস্তি আটকায়নি। উয়েফার সব ধরণের টুর্নামেন্ট হতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে।

    দুই সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগও একেবারে নির্ভেজাল-নির্বিবাদী ছিল না। ম্যাচের আগেই দর্শকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জিনিস ছোঁড়া হতে থাকে মাঠে, যার ফলে ম্যাচটা শুরুই হয় পনেরো মিনিট দেরিতে। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের মাঝবিরতির আগেই মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হুগো সানচেজকে ঘুষি মেরে লাল কার্ড দেখেন বায়ার্নের অধিনায়ক ক্লস অগেনথালার। লাল কার্ড দেখে মাথা নিচু বের হয়ে যাননি, ঠিকই মাদ্রিদ-সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন অগেনথালার।  এই ম্যাচে অবশ্য ১-০ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ, তবে দুই লেগ মিলিয়ে আবারও বায়ার্নের কাছে হেরে শেষ চারে বিদায় নিতে হয় তাদের। ওদিকে ফাইনালটা জেতা হয়নি বায়ার্নেরও, পোর্তোর কাছে হেরে ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় তারা।

    পরবর্তী মৌসুমে প্রথমবারের মতো বায়ার্ন মিউনিখকে নকআউট পর্বে নকআউট করার স্বাদ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে, আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ইউরোপিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরোয় দলটি। পরবর্তীতে অবশ্য পিএসভি আইন্দহোভেনের কাছে হেরে সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ হয় মাদ্রিদের।

    তবে হ্যাঁ, মাদ্রিদের ওই দলে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে মাদ্রিদের কোচ হিসেবে জিতেছিলেন দুটো চ্যাম্পিয়নস লিগ, এরপর স্পেনকে জিতিয়েছেন একটা বিশ্বকাপ আর একটা ইউরো। ভিসেন্তে দেল বস্ক নামের ওই ভদ্রলোক বলেন, “একটা সময় ছিল যখন জার্মানরা আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাতো। কিন্তু ওই শতাব্দী শেষ হতেই সব পাল্টে গেল। সময় যেন সব পাল্টে দিলো, আর আমরাও জিততে শুরু করলাম।”

    একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দেল বস্কের অধীনের রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয় বায়ার্ন মিউনিখের। সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য একেবারেই সুখকর ছিল না রিয়ালের জন্য। হোমে তারা পরাজিত হয় ৪-২ ব্যবধানে, আর অ্যাওয়েতে ৪-১-এ।

    কিন্তু কাহিনীটা বদলে যায় দুই মাস পরে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে। দেল বস্কের ভাষায়, “বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদকে বদলে দিয়েছিল ওই দুটো ম্যাচই। মাদ্রিদ বুঝেছিল, বায়ার্নের বিপক্ষে আর কোন মানসিক বাধা নেই তাদের।” পরের বছর খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া জিনেদিন জিদানের ভাষায় সেটা ছিল “নিকোলাস অ্যানেলকার জোড়া ম্যাচ।”

    অ্যানেলকা-ঝলকে ফাইনালে মাদ্রিদ; Image Source: Getty Images

    “আমাকে যদি একটা মাদ্রিদ-বায়ার্ন লড়াইয়ের কথা মনে করতে বলা হয়, আমি ২০০০ এর সেমিফাইনালের কথাই বলবো,” জিদান বলেন, “মাদ্রিদ লিগে তেমন ভালো করছিলো না (পঞ্চম হয়ে শেষ করে), অ্যানেলকাও নন। একাদশে আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি, তবে সেমিফাইনালের দুই লেগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আর দুই লেগেই খুব ভালো খেলেছিলেন তিনি, মাদ্রিদকে তুলেছিলেন ফাইনালে।”

    পরবর্তীতে ‘অল-স্প্যানিশ’ ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে রিয়াল মাদ্রিদ।

    পরের বছরেই অবশ্য ‘প্রতিশোধ’টা নিয়ে নেয় বায়ার্ন। বার্নাব্যুতে ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর মিউনিখে ২-১, এরপর ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়াকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মান ক্লাবটি।

    দলদুটো আবারও মুখোমুখি হয় পরের বছর, অর্থাৎ ২০০১-০২ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে। ভিসেন্তে দেল বস্ক তখন মাদ্রিদের কোচ, জিদান ছিলেন মাঠে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জেতে রিয়াল মাদ্রিদ, এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ফাইনালে বেয়ার লেভারকুসেনকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে তারা। ফাইনালে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেছিলেন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের বেঞ্চে তখন ছিলেন ফ্রান্সিসকো পাভন।

    “চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্রয়ের সময়টা সাধারণত আমাদের ট্রেনিংয়ের সময়ের সাথে মিলে যেত,” পাভন বলেন, “ট্রেনিংয়ের পরে আমরা ড্রয়ের ফলাফল দেখতাম, আর প্রতিবারই যেন বায়ার্নকে আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতাম। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে হাসাহাসিও হতো।”

    “নিজেদের হোমে খেলা আর জার্মানিতে খেলার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ওদের পুরোনো অলিম্পিয়াস্তাদিওনে খেলার কথা এখনো মনে পড়ে। ঠাণ্ডা রাত, লাউডস্পিকার বাজছে জোরে। ওরা চাইতো আমাদের ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করতে। আমাদের দম ফেলার ফুরসত ছিল না একেবারেই।”

    এরপর, ২০০৬-০৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। অ্যাগ্রিগেটে ৪-৪ সমতা আসার পরও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে বাদ পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১১-১২ মৌসুমেও প্রায় একই ভাবে হৃদয় ভাঙে স্প্যানিশ দলটির, বায়ার্ন মিউনিখ এবার টাইব্রেকারে জিতে উতরে যায় সেমিফাইনালের বাধা।

    তবে চিত্রটা পুরোপুরি পাল্টে যায় এরপর। ২০১২-এর ওই টাইব্রেকার-দুঃখের পর থেকে পুরো গল্পটাই লেখা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের অনুকূলে। ২০১৩-১৪ এর সেমিফাইনাল, ২০১৬-১৭ এর কোয়ার্টার ফাইনাল বা ২০১৭-১৮ এর সেমি, প্রতিবারই দুই লেগ শেষে বিজয়ী দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ, আর প্রতিবারই তারা জিতেছে ট্রফি।

    শেষ তিন লড়াইয়ে জিদান-রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদই জয়ী; Image Source: Getty Images

    “বায়ার্নের সাথে আমাদের প্রতিটি লড়াই-ই দারুণ,” ‘১৪তে কার্লো আনচেলত্তির সহযোগী ও ‘১৭, ‘১৮তে মূল কোচের দায়িত্বে থাকা জিনেদিন জিদান বলেন, “এই ধরণের ম্যাচই আমরা খেলতে চাই সবসময়ে। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে বায়ার্ন দুর্দান্ত। দারুণ শক্তিশালী একটা দল ওরা।”

    সব মিলিয়ে, মুখোমুখি লড়াইয়ে মাদ্রিদের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় এগারোটি। নকআউট পর্বে সাতবার বায়ার্নকে হারিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি, বাভারিয়ানরা পাঁচবার বিদায় করেছে মাদ্রিদকে। আশ্চর্যের ব্যাপার, ফাইনালে কখনোই দলদুটো মুখোমুখি হয়নি।

    চলতি মৌসুমটা তেমন ভালো যায়নি বায়ার্নের জন্য। বুন্দেসলিগার শিরোপাটা খোয়াতে হয়েছে লেভারকুসেনের কাছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালকে পরাজিত করলেও খেলায় মন ভরেনি কারোরই। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদ এক হাত দিয়ে রেখেছে লা লিগা ট্রফিতে, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টারে টাইব্রেকারে হারিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী ম্যানচেস্টার সিটিকে। বায়ার্নের বিপক্ষেও তাই মাদ্রিদকেই ফেভারিট মানছেন বেশিরভাগ ফুটবলবোদ্ধা।

    ভিসেন্তে দেল বস্কও তাঁদের বাইরে নন, “মাদ্রিদ সিটিকে পরাজিত করেছে সত্যি, কিন্তু বায়ার্নও দারুণ একটা দল। হ্যাঁ, মাদ্রিদ একটু হলেও এগিয়ে আছে বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু লেভারকুসেনের কাছে লিগ হারিয়ে বায়ার্নও কিছু জেতার জন্য ক্ষুধার্ত থাকবে। আর যেকোন পরিস্থিতিতেই বায়ার্ন খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ।”

    জিদানও বলছেন প্রায় একই কথা, “অবশ্যই ম্যাচটা সহজ হবে না। মাদ্রিদ-বায়ার্ন ম্যাচ মানেই ইউরোপীয় ক্লাসিক। তবে ভুলে গেলে চলবে না, মাদ্রিদের তুলনা কেবল মাদ্রিদই…” 

    জিদানের শেষ কথাটাই হয়তো সব কথার শেষ কথা!