• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, ২০২৪
  • " />

     

    সম্মিলিত বোলিং পারফরম্যান্স, হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়

    সম্মিলিত বোলিং পারফরম্যান্স, হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়    

    ২য় টি-টোয়েন্টি, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
    জিম্বাবুয়ে - ১৩৮/৭, ২০ ওভার  (ক্যাম্পবেল ৪৫, বেনেট ৪৪*, গাম্বি ১৭,  তাসকিন ২/১৮, রিশাদ ২/৩৩, মাহেদী ১/১৮)
    বাংলাদেশ - ১৪২/৪, ১৮.৩ ওভার (হৃদয় ৩৭*, মাহমুদউল্লাহ ২৬*, লিটন ২৩, জংওয়ে ২/৩৫)
    ফলাফল - বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী


     

    দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা যেন প্রথম টি-টোয়েন্টির গতিতেই এগুলো। শুরুতেই বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে বিপর্যস্ত জিম্বাবুয়ে, মাঝে লড়াই শুরু করে শেষে যেয়ে লড়াকুর এক সংগ্রহ, লক্ষ্য তাড়ার মাঝপথে বৃষ্টির বাগড়ায় বাংলাদেশের ডিএলএস নিয়ে চিন্তা, আর শেষটায় সেই অর্থে সহজেই জয় বের করে আনা - চট্টগ্রামে এই টি-টোয়েন্টিটার গল্পটাও একই। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও বল হাতে নায়ক তাসকিন, আর ব্যাট হাতে ম্যাচ বের করে আনলেন হৃদয়।

    ১৩৯ রানের লক্ষ্যে অবশ্য বাংলাদেশ শুরুটা ভালই করেছিল। পাওয়ারপ্লেটা তামিম-লিটন জুটি যখন নির্বিঘ্নে পার করে দিচ্ছিল তখনই আঘাত হানেন এন্দলোভু। ধুঁকতে থাকা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফিরলে পাওয়ারপ্লেতে ৪১ রান তোলে বাংলাদেশ। তামিম ফেরার পরেই এর মাঝে একবার কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি নেমেছিল। বৃষ্টির পর রাজার স্পেলে হুট করেই যেন খোলসে ঢুকে যান লিটন ও উইকেটে আসা শান্ত। সেটারই ফল তুলে দশম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জংওয়ে। শান্তকে ১৫ বলে ১৬ রানের ইনিংসের পর থামিয়ে দুই বল পরেই ২৫ বলে ২৩ রানে থাকা লিটনকেও ফেরান জংওয়ে। সাথে সাথেই নামে জোর বৃষ্টি। শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। কারণ দোষ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারালে বাংলাদেশকে তুলতে হত ৬৫ রান; সেখানে তাদের রান তখন ৬২!

    ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় তখন বেশিক্ষণ বৃষ্টি না হওয়ায় আবারও ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে এরপরও চাপটা ধরে রাখে জিম্বাবুয়ে। উইকেটে আসা জাকের আলী অনিকের স্টাম্প উপড়ে মুজারাবানি কিছুটা চিন্তার খোরাকও যোগান। তবে উইকেটে মাহমুদউল্লাহ এসে সব চাপ যেন নিমেষেই উড়িয়ে দেন। হৃদয়ও সেই দলে যোগ দিলে  খুব একটা অসুবিধে আর হয়নি। দুজনে মিলে ২৯ বলে ৪৯* রানের জুটি গড়ে বসেন। ২৫ বলে ৩৭* রানে হৃদয় ও ১৬ বলে ২৬* রানে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থেকে দলকে সহজেই এরপর জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।