• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    উরুগুয়েকে কাঁদিয়ে ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য কলম্বিয়া

    উরুগুয়েকে কাঁদিয়ে ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য কলম্বিয়া    

    ফুলটাইম স্কোর উরুগুয়ে ০-১ কলম্বিয়া


     

    দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হতে যাচ্ছে, তখনই লাল কার্ড দেখে বসলেন ডিয়েগো মুনিয়োজ। এই কিছুক্ষণ আগেই এগিয়ে গেলেও কলম্বিয়া শিবিরে তখন চিন্তার ভাঁজ। অথচ দশ জন নিয়েই বাজিমাত করল তারা। ২৩ বছর পর কোপা আমেরিকা ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে কলম্বিয়া।

    বরাবরের মতো এই ম্যাচেও শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলতেই থাকে। ম্যাচে শুরু থেকে ফুটবল উত্তাপ না ছড়ালেও মাঠের কর্তৃত্ব দখলে দুই দলই সোচ্চার ছিল। তবে ছুটতে থাকা কলম্বিয়াই খুলে গোলের গেরো। ৩৯ মিনিটের মাথায় দারুণ এক কর্নারে জেফারসন লার্মাকে হামেস রদ্রিগেজ খুঁজে নিলে সেখান থেকে হেডে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ২০২১ আসরে লিওনেল মেসির গড়া রেকর্ড ভেঙে ষষ্ঠ অ্যাসিস্টে সেই সাথে হামেস গড়েন কোপার এক আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড। সেই ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের পর কোনো টুর্নামেন্টে এই প্রথম কোনো দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড় ছয়টি অ্যাসিস্ট পেলেন।

    সেই আনন্দ মলিন হয়ে যেতে বসেছিল অর্ধের শেষদিকে মুনিয়োজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায়। উগার্তেকে কনুই মেরে মুনিয়োজকে মাঠ ছাড়তে হলে কলম্বিয়ার কাজটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।

    তবে সুযোগ নিতে ব্যর্থ উরুগুয়ে। বিশেষ করে ডারউইন নুনিয়েজ তো সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোলের খাতা খুলতে পারেননি। বদলি হিসেবে নেমে লুইস সুয়ারেজ ৭১ মিনিটের মাথায় গোলের কাছাকাছি এলেও বল লাগান বারে। শেষদিকে গিয়ে উরুগুয়ের কফিনে পেরেক ঠুকে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। তবে ৮৮ মিনিটের মাথায় উরিবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। যোগ করা সময়ে সেই উরিবেই আবার সুযোগ পেলেও এবার তাকে প্রতিহত করেন রচেত। তাতে অবশ্য তাদের বয়েই গিয়েছে। ওই এক গোল নিয়েই ২০০১ সালের পর আবার ফাইনালে তারা। আর্জেন্টিনার কাছে হারের পরেই টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকল কলম্বিয়া; ফাইনালে আবারও সেই মেসিদেরকেই পাচ্ছে তারা।