সাদমানের সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপের দিনে মুমিনুল, মুশফিক, লিটনদের ব্যাটে রান
১ম টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি (টস- বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
পাকিস্তান - ৪৪৮/৬ ডি., ১ম ইনিংস (রিজওয়ান ১৭১*, শাকিল ১৪১, সাইম ৫৬, হাসান ২/৭০, শরিফুল ২/৭৭, মিরাজ ১/৮০)
বাংলাদেশ - ৩১৬/৫, ১ম ইনিংস (সাদমান ৯৩, মুশফিক ৫৫*, লিটন ৫২*, শাহজাদ ২/৪৭, সাইম ১/২৩, আলী ১/৪২)
বাংলাদেশ ১৩২ রানে পিছিয়ে
৩য় দিন, স্টাম্পস
পিন্ডির তৃতীয় দিনে ভালোমন্দর মিশেলেই গেল বাংলাদেশের জন্য। দারুণ খেলতে থাকা সাদমান ইসলামকে পুড়তে হয়েছে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে, ফিফটি করেই মনোযোগ হারিয়ে বসেছিলেন মুমিনুল হক। তবে দিনের শেষাংশে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস যে দৃঢ়তা দেখালেন সেটাই আগামীকাল বাংলাদেশের শিবিরে আত্মবিশ্বাসের যোগান দিবে।
দিনের শুরুটা হয়েছিল জাকিরের দ্রুত বিদায়ে। নাসিমের বলে রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে জাকির ফিরলেও মাটি কামড়ে পড়েছিলেন সাদমান। মাঝে বাবর আজম একটা ক্যাচ নিতে পারেননি, তার সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রিজওয়ান ঝাঁপ দেননি। তারই মাঝে ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর স্টাম্প উপড়ে ফেলেন খুররম শাহজাদ। এরপরেই মুমিনুলকে নিয়ে আশার আলো হয়ে ছিলেন সাদমান। সকালের সেশনে আবার খেলা হয়েছে তিন ঘণ্টা! জুম্মার নামাজের সময় খেলা বন্ধ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ওই সেশনের শেষ বলেই ফিফটি ছুঁয়ে সাদমান দিচ্ছিলেন রানের বার্তা।
তাকে সঙ্গ দিয়ে মুমিনুলও ছিলেন ছন্দে। তবে পরের সেশনে ফিফটি তুলেই শাহজাদের প্রায় সোজা এক বলে স্টাম্প খুইয়ে ৫০ রানেই ফেরেন মুমিনুল। উইকেটে আসা মুশফিক এরপর ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছিলেন। সাদমানও স্বভাবসুলভ ক্রিকেট খেলে বাজে বলকে কাজে লাগিয়েছেন। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে মনোযোগটা বোধহয় ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে বসলেন। আগের সেশনের শেষ বলে ফিফটি পাওয়া সাদমান চা-বিরতির আগে শেষ বলে ফিরলেন সাজঘরে। ব্যাট-প্যাডের বড় ফাঁক গলে তার স্টাম্প উপড়ে তাকে ৯৩ রানে থামান মোহাম্মদ আলী।
পরের সেশনে উইকেটে এসে সাকিবও থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকে সরাতেই সাইম আইয়ুবকে আক্রমণে আনা হলে প্রথম ওভারেই তাকে প্রথম টেস্ট উইকেটর স্বাদ দিয়ে ফেরেন সাকিব। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ১৬ রানে সাকিব ফিরলে অবশ্য উইকেটে এসে লিটন নিজেকে মেলে ধরেন। এই টেস্টে উইকেটকিপিংয়ের ফর্মটা যেন ব্যাট হাতেও দেখালেন লিটন। মুশফিকের স্থিতধি ফিফটির পর নাসিমকে একহাত নিলেন লিটন, ওভারে নেন ১৮ রান! চতুর্থ বলে যেই ছয়টা মারলেন তা যেন চোখে লেগে থাকার মতো ছিল। মাত্র ৫২ বলেই ফিফটি তুলে নিয়ে লিটন বার্তা দেন রানে ফেরারও। অভিজ্ঞ এই জুটি দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকে, আশা দেখাচ্ছেন বড় রানের।