• বাংলাদেশ-পাকিস্তান
  • " />

     

    ধ্বংসস্তুপে লিটনের সেঞ্চুরি, হাসানের তোপে তৃতীয়দিনও বাংলাদেশের

    ধ্বংসস্তুপে লিটনের সেঞ্চুরি, হাসানের তোপে তৃতীয়দিনও বাংলাদেশের    

    স্কোরকার্ডে ১০/০ নিয়ে তৃতীয়দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে সকালের সেশনে মাত্র ৩৪ বলের মধ্যে পড়ে যায় প্রথম ছয় উইকেট। ব্যাটিং অর্ডারের সেই ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ইনিংস মেরামত করলেন লিটন দাস আর মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের রেকর্ডগড়া ১৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মিরাজ ফিরলেও লিটন পেয়েছেন সেঞ্চুরি। আর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানে জোড়া আঘাত করে তৃতীয় দিনটাও বাংলাদেশের দখলে আনেন হাসান মাহমুদ।

     

    মিরাজ যখন ব্যাটিংয়ে আসেন, ২৬ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। সাবলীল ব্যাটিংয়ে এরপর আর বিপদ হতে দেননি দুজন। গড়েছেন ১৬৫ রানের জুটি। এই জুটির পথে দুটো রেকর্ডেও নাম উঠে গেছে দুজনের। 

     

     

    চা বিরতির আগে খুররম শেহজাদের হাতে ফিরতি ক্যাচে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। তবে লিটন একপ্রান্ত আগলে ছিলেন। ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। রাওয়ালপিন্ডির ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলেছেন ১৩৮ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস। পাকিস্তানি পেসারদের একের পর এক বাউন্সারেরো দারুণ সব জবাব দিয়েছেন পুল-হুকে। সাইম আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস। মাঠ ছেড়েছেন তুমুম করতালির মধ্যে। ড্রেসিংরুমে পেয়েছেন স্ট্যান্ডিং ওভেশন।

    আলাদা করে বলতে হবে হাসান মাহমুদের কথা। দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লিটনকে। টেইল এন্ডার হয়েও খেলেছেন ৫১টা বল। যে কারণে স্বাভাবিক ব্যাটিংটা করে যেতে পেরেছেন লিটন। বল হাতেও আজ ছিলেন দুর্দান্ত। নতুন বল হাতে নিয়েই ফিরিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিককে। শেষটা করেছেন নাইটওয়াচম্যান হিসেব নামা খুররম শেহজাদের স্টাম্প উপড়ে।