মিরাজ-জাকেরের দৃঢ়তায় ম্যাচে টিকে রইল বাংলাদেশ
১ম টেস্ট, মিরপুর (টস - বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
বাংলাদেশ - ১০৬ ও ও ২৮৩/৭, ২য় ইনিংস (মিরাজ ৮৭*, অনিক ৫৮, জয় ৪০, রাবাদা ৪/৩৫, মহারাজ ৩/১০৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা - ৩০৮, ১ম ইনিংস
৩য় দিন, স্টাম্পস
বাংলাদেশ ৮১ রানে এগিয়ে
দিনের শুরুটা যতটা ভয়াবহ ছিল, দিনের শেষে স্কোরকার্ডটা ততটা বীভৎস রূপ ধারণ করেনি। সেই অবস্থা হতে দেয়নি মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। সকালের ধস সামলে আলোকস্বল্পতায় আগেই খেলা শেষ হলেও খাদের কিনারা থেকে লিড নিয়ে জয়ের স্বপ্নও হয়তো বুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দৃশ্যপট অবশ্য একেবারেই ভিন্ন হতে পারত। রাবাদার তোপে সকালেই বিষম খেয়ে যায় বাংলাদেশ। একই ওভারে রাবাদা ফেরান আগের দিনে উইকেটে থিতু হওয়া জয় ও মুশফিককে। অফ সাইডের সামান্য বাইরে গুড লেংথ বল পেয়েই তাড়া করতে গিয়ে জয় ফেরেন ৪০ রানে। এক বল পরেই ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো মুশফিকের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন রাবাদা। ৩৩ রানে মুশফিক ফেরার কিছুক্ষণ পরেই মহারাজের তীক্ষ্ণ ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত লিটন, ফিরলেন ৭ রানে। লাঞ্চের আগেই বাংলাদশ গুটিয়ে যায় কি না সেই শঙ্কা জেগে ওঠে তখন।
তবে সেখান থেকেই লড়াইটা শুরু মিরাজ-অনিকের। অভিষিক্ত অনিক পড়ে রইলেন মাটি কামড়ে। মিরাজ যেন নিজের দায়িত্বটা উপলব্ধি করেই খেললেন পরিশীলিত কায়দায়, বল বুঝে বোলারকে সম্মান দিয়ে বাউন্ডারিও বের করে নিতে থাকলেন। দেখতে দেখতে ৮৯ রান তুলে ফেলে মাত্র ১ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
মিরাজের নবম ফিফটির পর অনিকও পরের সেশনে পেয়ে যান ফিফটি। মোসাদ্দেক হোসেনের পর প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আটে নেমে অভিষেকে ফিফটির কীর্তি গড়েন তিনি। ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মহারাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শেষ হয় তার ১১১ বলের ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস। এর আগে মিরাজের সাথে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন (১৩৮ রান)।
অনিক ফেরার পর মিরাজের কাঁধে দায়িত্ব চাপলেও তাতে নুহ্য হয়ে পড়েননি তিনি। সেই সাথে নাঈমও দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। এক পশলা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও আলোকস্বল্পতায় বেশিক্ষণ খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। মিরাজকে তাই দিন শেষ করতে হয়েছে ৮৭* রানে থেকে।