বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশা, ১০ বছরের জয়খরা কাটাল প্রোটিয়ারা
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা, ১ম টেস্ট, মিরপুর
টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং
বাংলাদেশ: ১০৬ ও ৩০৭ (মিরাজ ৯৭, জাকের ৫৮, মাহমুদুল ৪০, মুশফিক ৩৩, নাজমুল ২৩, নাঈম ১৬; রাবাদা ৬/৪৬, মহারাজ ৩/১০৫, মুল্ডার ১/৪০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০৮ ও ১০৬/৩ (জর্জি ৪১, স্টাবস ৩০*, মার্করাম ২০, বেডিংহাম ১২; তাইজুল ৩/৪৩, হাসান ০/১২, মিরাজ ০/১৩, নাঈম ০/২০)।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট জয়ী
বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিনে আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়েছিল খেলা। কিছুটা আশার আলো দেখেছিল বাংলাদেশ। 'যাক অন্তত আজকে দিনটা কাটানো গেল', ভেবে। ইনিংস ব্যবধানে হারের শংকাটা যে কেটেছিল সেদিন মিরাজের ব্যাটে। তারই হাত ধরে ৮১ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আজ চতুর্থ দিন বাংলাদেশ টিকল মাত্র ৪.৫ ওভার, সময়ের হিসেবে ২৫ মিনিট। টনি জি জর্জি আর ত্রিস্তান স্টাবসের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা জিততে সময় নিল ৮৮ মিনিট। ১০ বছর আর ১৩ টেস্ট পর উপমহাদেশে টেস্ট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
লাল বল আর ব্যাটিং দুর্দশা; বাংলাদেশের জন্য বেশ পুরনো এক দৃশ্য। এই টেশটেও পুরনো সেই সমস্যাতেই ভুগেছে দলটা। মিরপুরের র্যাংক টার্নারে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়েই বেধেছে বিপত্তি। চেনা কন্ডিশন বটে; তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে দুই পেসার কাগিসো রাবাদা আর ভিয়ান মুল্ডার মিলেই নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টপ কিংবা মিডল্ল অর্ডার; জয় ছাড়া রান পাননি কেউই। শেষদিকে তাইজুল ১৬ না করলে দলীয় সংগ্রহ হয়তো একশো পেরোত না।
কাইল ভেরেইনার সেঞ্চুরিতে ২০২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস থামে প্রোটিয়াদের। মিরপুরের টার্নিং উইকেটের জন্য সেটা আপাতদৃষ্টিতে বড় লিড; অন্তত ম্যাচের সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার মতো যথেষ্টঁ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বাংলাদেশ; ১১২ রানে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকে ১৩৮ রানের জুটিতে দলকে বাঁচান মিরাজ আর জাকের জুটি। অভিষিক্ত জাকের পেয়েছেন ফিফটি, মিরাজ পরদিন আউট হয়েছেন ৯৭ রানে।