ফিল্ডিং ভোগান্তি বাংলাদেশের, জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন প্রোটিয়াদের
২য় টেস্ট, চট্টগ্রাম
টস: দক্ষিণ আফ্রিকা/ব্যাটিং
দক্ষিণ আফ্রিকা, ১ম ইনিংস- ৩০৭/২ (ডি জর্জি ১৪১* ত্রিস্তান স্টাবস ১০৬, তাইজুল ২/১১০)
টনি ডি জর্জি আর ত্রিস্তান স্টাবস, দুজনই পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা দিনটা শেষ করেছে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে, স্কোরকার্ডে জমা করেছে তিনশোর বেশি রান। অথচ অভিষিক্ত মাহিদুল দুজনের ক্যাচ আর স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস না করলে চট্টগ্রামে প্রথম দিনের গল্পটা হয়তো লিখতে পারত বাংলাদেশও।
টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে সকালের সেশনে একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের বলে ডি জর্জির আউটসাইড এজ হয়ে বল গিয়েছিল ইকেটকিপার মাহিদুল ইসলামের পাশ দিয়ে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ক্যাচটি নিতে পারেননি মাহিদুল। তখন ব্যক্তিগত ৬ রানে ব্যাট করেছিলেন ডি জর্জি। এরপরেও জীবন পেয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর সেই হাসানের বলেই পুল করে রানের জন্য ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু ক্র্যাম্পের জন্য পপিং ক্রিজের আশেপাশেও যেতে পারেননি তখন। সুযোগ পেয়েও উইকেট ভাঙ্গতে পারেননি জয়।
প্রোটিয়াদের ৬৯ রানের মাথায় এইডেন মার্করামকে ফেরান তাইজুল, আসে দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২০০ রান তোলে স্টাবস-জর্জি জুটি। জুটির পথে সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্টাবসই। তবে তিনিও জীবন পেয়েছেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। তাইজুলের বলে স্টাম্পিংয়ের হাত থেকে বেঁচে যান মাহিদুল মিস করায়। তবে তাইজুলই নিয়েছেন প্রোটিয়াদের দুই উইকেট। উইকেটহীন দ্বিতীয় সেশনের পর তৃতীয় সেশনে তাইজুল বোল্ড করেন সেঞ্চুরিয়ান স্টাবসকে।