• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ, ২০২৪
  • " />

     

    সংখ্যায় সংখ্যায় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ

    সংখ্যায় সংখ্যায় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ    

    দুর্বিষহ এক টেস্ট সিরিজ পার করল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রোটিয়ারা যেন কাঁদিয়ে ছাড়ল তাদের। ব্যাট বা বল হাতে নেই সেই অর্থে কোনো পারফরম্যান্স। বল হাতে তাইজুল তাও যা একটু চেষ্টা করেছেন; তিন ইনিংসে বল করেও সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ব্যাট হাতে সেরকমটাও কিছু দেখা যায়নি, নেই কোনো সেঞ্চুরি। তবে সংখ্যার হিসেবে হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড - সেটা হোক দক্ষিণ আফ্রিকার গৌরবের বা বাংলাদেশের গ্লানির। বাংলাদেশের ব্যাটে-বলে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের পাশাপাশি চোখ বুলানো যাক সেসব সংখ্যায়ও।

     

    বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক

    মেহেদী হাসান মিরাজ

    ইনিংস: ৪
    রান: ১১৭
    ব্যাটিং গড়: ২৯.২৫
    সর্বোচ্চ: ৯৭

    মাহমুদুল হাসান জয়

    ইনিংস: ৪
    রান: ৯১
    ব্যাটিং গড়: ২২.৭৫
    সর্বোচ্চ: ৪০

    মুমিনুল হক

    ইনিংস: ৪
    রান: ৮৬
    ব্যাটিং গড়: ২১.৫০
    সর্বোচ্চ: ৮২

     

    বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি

    তাইজুল ইসলাম

    ইনিংস: ৩
    উইকেট: ১৩
    বোলিং গড়: ২৭.৯২
    সেরা বোলিং ফিগার: ৫/১২২

    হাসান মাহমুদ

    ইনিংস: ৩
    উইকেট: ৩
    বোলিং গড়: ৫৩.৬৬
    সেরা বোলিং ফিগার: ৩/৬৬

    মেহেদী হাসান মিরাজ

    ইনিংস: ৩
    উইকেট: ২
    বোলিং গড়: ১২৩.৫০
    সেরা বোলিং ফিগার: ২/৬৩

     

    সেই সাথে দেখে নেওয়া যাক সিরিজে কী কী রেকর্ড হল -

    ১৭ - টেস্টে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় ১৪ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে তারা এক ইনিংসেই হাঁকিয়েছে ১৭টি ছয়।

    ৯৭ - প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশি হিসেবে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। রেকর্ডটা তাই এখনও একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়ের অধীনেই আছে (১৩৭)।

    ১০৬ - প্রথম টেস্টে এই রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে এশিয়ার মাটিতে তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড।

    ১০৬ - প্রথম টেস্টে ১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ গড়েছিল নিজেদের পঞ্চম সর্বনিম্ন টেস্ট সংগ্রহের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড।

    ১৭৭ - টেস্টে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মতো কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার প্রতিপক্ষের দুই ইনিংসের দলীয় সংগ্রহের চেয়েই এক ইনিংসে বেশি রান তুলেছেন। টনি ডি জর্জির ১৭৭ রান কোনো ইনিংসেই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ (১৫৯ ও ১৪৩)।

    ৩০৭ - প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

    ২৭৩ - নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ও ২৭৩ রানের এই জয়টা রানের ব্যবধানে তাদের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগের রেকর্ডটাও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২০১৭ সালে, ব্লুমফন্টেইনে, ইনিংস ও ২৫৩ রানের ব্যবধানে। সেই সাথে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাজয়।

    ৪১৬ - প্রথম ইনিংসে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের লিড। ঘরের মাটিতে ৪১৬ রানে পিছিয়ে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা একইসাথে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ। সেই সাথে এশিয়ার মাটিতে কোনো সফরকারী দলের প্রথম ইনিংসের পর এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের লিড। মজার ব্যাপার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিড, যা ৪১৮ রানের, সেটাও দক্ষিণ আফ্রিকার; তাও আবার তারা দুইবার এই রানের লিডের রেকর্ড গড়েছে। প্রথমটা আহমেদাবাদে ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে, আর দ্বিতীয়টা দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৪ সালে।

    ৫৭৫ - নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহে এবার ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চটা ছুঁতে আর মাত্র দশ রান লাগলেও মুল্ডারের সেঞ্চুরির সাথে সাথেই ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন অধিনায়ক মার্করাম।