• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালের হাসি

    শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালের হাসি    

    ম্যাচের ৮৫ মিনিট পেরিয়ে গেছে, বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে ১-০ গোলে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার মিশন ইম্পসিবলের শুরুতেই হোঁচট খেতে হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু নাটক শুরু এর পরেই। ম্যাচের আগে যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা, সেই রোনালদোর শেষমুহূর্তের ফ্রিকিকেই ১-১ গোলে সমতা আনে রিয়াল। মোরাতার ৯৪ মিনিটের নাটকীয় গোলে স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

    ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের সাথে টেক্কা দিয়ে লড়েছে স্পোর্টিং। রিয়ালের চেয়ে পর্তুগালের ক্লাবটির খেলাই ছিল অনেক গোছানো। অবশ্য প্রথমার্ধে গোলের সুযোগই ছিল হাতেগোনা। ৩০ গজ দূর থেকে রোনালদোর শট এবং ব্রুনো সিজারের দুটি প্রচেষ্টা বাদে প্রথমার্ধে আর তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেননি কোনো দলই।

    দ্বিতীয়ার্ধের দু মিনিটের মাথায়ই লিড নেয় স্পোর্টিং। সেই ব্রুনো সিজারের গোলেই এগিয়ে যায় হোর্হে হেসুসের শিষ্যরা। গোলের পর কিছুটা তৎপর দেখা যায় রিয়ালকে। চেষ্টার কোনো কমতি না থাকলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না রোনালদোরা। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে পাওয়া ফ্রিকিক থেকে রুই প্যাট্রিসিওকে পরাস্ত করেন রোনালদো। এর মধ্য দিয়ে নিজের সাবেক ক্লাবগুলোর বিপক্ষে খেলা সব ম্যাচে গোল করার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখেন। নিশ্চুপ উদযাপন দিয়ে বুঝিয়ে দেন, ঘরের ক্লাবের প্রতি ভালবাসাটা এখনো আগের মতই আছে।

    অতিরিক্ত সময় সহ মিনিট ছয়েকে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে রিয়াল। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৯৪ মিনিটে হামেসের নিখুঁত ক্রসে জোরালো হেডে দলকে এগিয়ে নেন মোরাতা। আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচের শেষ আক্রমণে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এই গ্রুপের অপর ম্যাচে লেজিয়া ওয়ারশকে তাদেরই মাঠে ০-৬ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ডর্টমুন্ড।