দলে ফিরেই আগুয়েরোর হ্যাটট্রিক
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ডার্বিতে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে। দল জিতলেও সার্জিও আগুয়েরোর একটু আফসোস হয়তো ছিল। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে সেটা কড়ায় গন্ডাতেই মিটিয়েছেন ম্যান সিটি স্ট্রাইকার। গ্লাডবাখকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে সিটি, আগুয়েরো করেছেন হ্যাটট্রিক। এই মৌসুমে এটি আগুয়েরোর দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান হ্যাটট্রি। প্লে অফে দুইটি পেনাল্টি মিস করেও তিন গোল পেয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে পেপ গার্দিওলার অভিষেকও মনে রাখার মতোই হলো।
ইংলিশ দলগুলোর জন্য রাতটা অবশ্য পুরোপুরি পয়া ছিল না। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে স্বপ্নের শুরু হয়েছে লেস্টার সিটির, বেলজিয়ামের ক্লাবের ব্রুশেকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। কিন্তু টটেনহামের শুরুটা ভুলে যাওয়ার মতো হয়েছে, নিজেদের মাঠে মোনাকোর কাছে হেরে গেছে ২-১ গোলে।
তবে দিনটা নিজের করে নিয়েছে ডর্টমুন্ডই। লেগিয়া ওয়ারশর সঙ্গে ১৬ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে এত দ্রুত তিন গোলের লিড নেওয়ার রেকর্ড আর কারও নেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা তারা শেষ করেছে ৬-০ গোলের জয়ে। কেউ অবশ্য হ্যাটট্রিক দূরে থাক, একাধিক গোলও পাননি। গোটশের গোলে শুরু, এরপর পাপাস্থোপোলুস, মার্ক বার্ত্রা, রাফায়েল গেরেরো, গঞ্জালো কাস্ত্রো ও পিইয়েরে এমেরিক অবামেয়াং করেছেন একটি করে গোল।
তবে ইতালির চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের শুরুটা ভালো হয়নি। সেভিয়ার সঙ্গে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্র করতে হয়েছে। পুরো ম্যাচে দাপট ছিল জুভেন্টাসের, অন্তত কয়েকটি গোল করার নিশ্চিত সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু খেদিরা, হিগুয়েউন, দিবালারা সেসব কাজে লাগাতে পারেননি। সেভিয়া গোলরক্ষক সার্জি রিকোও দারুণ কিছু সেভ করেছেন।
অন্য ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে বেয়ার লেভারকুসেন ও সিএসকেএ মস্কো। পর্তুগালে গিয়ে পোর্তোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ডেনিশ ক্লাব কোপেনহেগেন। নিজেদের মাঠে লিঁও ৩-০ গোলে হারিয়েছে ডায়নামো জাগরেবকে।