• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    স্প্যানিশ "অভিশাপ" কাটছে না বায়ার্নের!

    স্প্যানিশ "অভিশাপ" কাটছে না বায়ার্নের!    

    গতবার এই অ্যাটলেটিকোর কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখকে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ভিসেন্টে ক্যালদেরনে। ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। সেই সাথে বায়ার্নের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেয়ার পর নিজের নবম ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখলেন কার্লো আনচেলোত্তি।

    গত সেমিফাইনালে বায়ার্নের ম্যানেজার ছিলেন গার্দিওলা। এরপর কার্লো আনচেলোত্তির অধীনে বায়ার্নের খেলার ধরণ পাল্টালেও অনেকটা পুরোনো কায়দায়ই বায়ার্নকে আটকে দিয়েছে সিমিওনের দল; ৩৫ মিনিটে ইয়ানিক কারাস্কোর ডি বক্সের বাইরে থেকে করা গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়াতেই পারত অ্যাটলেটিকো।



    ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে আন্টোয়ান গ্রিজম্যান গোল করতে ব্যর্থ না হলে অন্তত দুই গোলের জয়টা পেতেই পারত অ্যাটলেটিকো। তবে এই জয়ের পরও ম্যাচ শেষে সিমিওনের কপালে ছোট্ট একটা দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকলেও থাকতে পারে! চ্যাম্পিয়নস লিগে এই নিয়ে গত চার ম্যাচে ৩ টি পেনাল্টি পেয়েও সবগুলো থেকেই যে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন গ্রিজম্যান, তোরেসরা!

    ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের ওপর অ্যাটলেটিকোর আধিপত্যই ছিল বেশি। ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পেতে পারতেন তোরেস। গোলদাতা কারাস্কোকেও আরও দু'বার গোলবঞ্চিত করেছেন ম্যানুয়েল নয়্যার। দ্বিতীয়ার্ধে ওই পেনাল্টি ছাড়াও বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থই হয়েছে সিমিওনের দল। তবে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর চিরচেনা সেই অ্যাটলেটিকোকেই দেখা গেছে মাঠে! প্রতিপক্ষকে হতাশ করার কৌশলটা যেন আরও ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন অ্যাটলেটিকো খেলোয়াড়েরা।

    প্রথমার্ধে অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক অবলাককে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ২২ মিনিটে তোরেস গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করার আগে থমাস মুলারের করা এক ভলি ঠেকিয়ে দেন অবলাক। গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের সেরা সুযোগ আসে লেভাডফস্কির কাছে। কিন্তু পোলিশ এই স্ট্রাইকারের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে চলে যায় বাইরে দিয়ে। এছাড়া আর বলার মতো তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। 

    স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বায়ার্নের দুর্দশা যেন কাটছেই না। স্পেনে গত চৌদ্দ ম্যাচে মাত্র দু'টিতে জয় পেয়েছে বায়ার্ন। ২০১৪ সালের পর স্প্যানিশ কোনো দলের বিপক্ষে আর গোলের দেখায়ই পায়নি জার্মান জায়ান্টরা! এই হারের পর গ্রুপ ডি তে দ্বিতীয় স্থানে আছে বায়ার্ন। আর দুই জয় নিয়ে সবার উপরে গতবারের ফাইনালিস্ট অ্যাটলেটিকো। গ্রুপের অন্য ম্যাচে পিএসভি আইন্দোভেন ২-২ গোলে ড্র করেছে এফসি রোস্তোভের সাথে। 

    রাতে গ্রুপ 'এ' এর ম্যাচে আর্সেনালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন থিও ওয়ালকট। আর্সেনালের জয়টাও এসেছে দুই গোলেরই। বাসেলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। আর একই গ্রুপে লুদুগোরেটসের কাছে প্রথমে অপত্যাশিতভাবে পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে লুদুগোরেটসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে উনাই এমরির দল।