অপেক্ষা বাড়ল রোনালদোর
ম্যাচের আগে সবটুকু আলো ছিল রোনালদোর ওপরই। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সবমিলিয়ে একশ গোলের মাইলফলক ছুঁতে দরকার ছিল মাত্র দু'গোল। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়বেন রোনালদো, জিতবে রিয়াল মাদ্রিদ- এমনটিই আশা করেছিলেন বার্নাব্যুর দর্শকেরা। রোনালদো শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা না পেলেও বার্নাব্যুতে লেজিয়া ওয়ারশকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে জিদানের শিষ্যরা।
বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচটা একটা সময় পর্যন্ত কিন্তু মোটেও একপেশে হয়নি। বরং প্রথম ১৫ মিনিট রিয়ালের ডিফেন্স দাপিয়ে বেড়িয়েছে লেজিয়া। জলোউইচ আর ওজিজা সুযোগ হাতছাড়া না করলে ফলাফলটা অন্যরকমও হতে পারতো। ওদিকে রিয়ালও কম সুযোগ হাতছাড়া করেনি। কিন্তু ১৬ মিনিটে দানিলোর পাস থেকে দারুণ এক শটে রিয়ালকে লিড এনে দেন গ্যারেথ বেল। প্রায় দুই বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল পেলেন এই ওয়েলশ তারকা। এর মিনিট চারেক পরেই মার্সেলোর শট দুর্ভাগ্যক্রমে নিজ জালে ঠেলে দেন জলোউইচ।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দমেনি লেজিয়া। উলটো পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন রাদোভিচ। মদ্রিচ, কোভাচিচের অনুপস্থিতি প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে এই ম্যাচে। ৩৭ মিনিটে রোনালদোর চতুর পাস থেকে ব্যবধান ৩-১ করেন অ্যাসেন্সিও। এই গোলের সুবাদে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ- উভয় লিগেই অভিষেকে গোল পেলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এ মৌসুমে রিয়ালের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি টুর্নামেন্টে গোল করলেন অ্যাসেন্সিও।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানতালে লড়েছে লেজিয়া। সুযোগও পেয়েছিল বেশ কিছু। কিন্তু অগোছালো বিল্ড-আপের কারণে আর জাল খুঁজে পাওয়া হয়নি পোলিশ দলটির। ৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন ভাজকেজ আর মোরাতা। স্পোর্টিং লিসবনের বিপক্ষে এই জুটি নামার পরই খেলায় ফিরেছিল রিয়াল। এই ম্যাচেও হয়েছে ঠিক তা-ই। নামার মিনিট চারেক পরেই মোরাতার ক্রসে জোরালো এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ভাজকেজ। ৮৪ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে গোল করেন মোরাতা।
ম্যাচে আপ্রাণ চেষ্টা করেও গোলের দেখা পাননি রোনালদো, সেঞ্চুরির অপেক্ষাটাও আরেকটু দীর্ঘায়িত হল। গ্রুপের অপর ম্যাচে স্পোর্টিং লিসবনকে তাদেরই মাঠে ১-২ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। রিয়াল, ডর্টমুন্ড উভয়ের পয়েন্ট ৭ হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে জার্মানরা।