চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্যরকম লেস্টার সিটি!
প্রিমিয়ার লিগে আট ম্যাচ খেলে লেস্টার সিটির সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। লেস্টার সিটির খেলা দেখে 'চ্যাম্পিয়ন' তকমাটা একেবারেই বোঝার উপায় নেই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে কিন্তু চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলছে লেস্টার সিটি। টানা তৃতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে পুরো ৯ পয়েন্ট এখন তাঁদের ঝোলায়! নকআউট পর্ব হাতছানি দিচ্ছে এখন ফক্সদের। ইংল্যান্ডে নয়, এই মৌসুমে লেস্টার সিটি চমক দেখাচ্ছে ইউরোপে! 'ডি' গ্রুপের খেলায় এফসি কোপেনহেভেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
লেস্টার সিটির হয়ে গোল করেছেন রিয়াদ মাহরেজ। আলজেরিয়ান উইঙ্গারের ৪০ মিনিটের গোলটিই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। ইসলাম স্লিমানির ক্রস থেকে লাফিয়ে পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত টোকায় কোপেনহেভেনের জালে বল জড়ান মাহরেজ।
টানা তিন জয়ে ইউরোপের এক এলিট ক্লাবেও ঢুকেও গেছে লেস্টার সিটি। যেখানে আগে থেকেই আছে এসি মিলান, জুভেন্টাসদের মতো দল। পঞ্চম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকে টানা তিন জয়ের রেকর্ড গড়ে মিলান, জুভেন্টাস, পিএসজি, মালাগার পাশে বসেছে লেস্টার সিটি।
এই গ্রুপের অন্য খেলায় অতিরিক্ত সময়ের গোলে ক্লাব ব্রুজকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পোর্তো।
লেস্টার সিটি নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামলেও আরেক ইংলিশ দল টটেনহ্যাম হটস্পার্সের পরীক্ষা ছিল কঠিনই। জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায় খুশিই হবার কথা মারুসিও পচেত্তিনোর। গোলশুন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি। দ্বিতীয়ার্ধে লেভারকুসের একের পর এক আক্রমণ সামলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারায় আর্জেন্টাইন কোচ নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। ভাগ্যের সাথে ক্যাপ্টেন হুগো লরিসের বেশ কিছু সেভও ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিল স্পার্সকে। এই গ্রুপের সিএসকে মস্কো আর মোনাকোর খেলাও ড্র হয়েছে। শেষ হয়েছে ১-১ গোলে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রাতে গ্রুপ 'এইচ' এর অলিম্পিক লিঁও আর জুভেন্টাসের খেলাটি ছিল সবচেয়ে ঘটনাবহুল। পেনাল্টি, লাল কার্ড, দেখার মতো গোল- কী ছিল না! ১০ জনের দল নিয়ে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ফ্রান্স ছাড়তে পারার কৃতিত্বটা জুভেন্টাস মিডফিল্ডার কুয়াদ্রাদোর।
ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মারিও লেমিনা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ৭৬ মিনিটে কুয়াদ্রাদো গোল করেন বাঁকানো ক্রস থেকে। সবরকম সুযোগ পেয়েও ম্যাচে শুন্য হাতে ফেরার দোষটা লিঁও আসলে নিজেদের ওপরই শুধু চাপাতে পারে। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল মিস করেছেন লাকাজেট। বুফনের জালে বল ঢোকানোর এর চাইতে ভালো সুযোগ আর কি-ই বা হতে পারত লিওর জন্য! ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে অনেকদিন পর ৯০ মিনিটের ম্যাচে পেনাল্টি সেভ করলেন বুফনও। ২০০৩ সালে সবশেষ ঠেকিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফিগোর নেয়া কিকটি।
গ্রুপের অন্য খেলায় সামির নাসরির একমাত্র গোলে সেভিয়া হারিয়েছে ডিনামো জাগরেবকে।