ন্যু ক্যাম্পে এবার ভাগ্য পক্ষে থাকবে গার্দিওলার?
কী দেয়নি ন্যু ক্যাম্প তাঁকে? একজন কোচ তাঁর ক্যারিয়ারে যা চান সবই পেয়েছেন সেখানে। ‘গার্দিওলার বার্সা’কে বলা হতো ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল। অনেক জল গড়িয়েছে, বায়ার্ন মিউনিখ ঘুরে পেপ গার্দিওলা এখন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ। আজ আবার ফিরে যাচ্ছেন সেই চিরচেনা মাঠে। তবে এবার প্রতিপক্ষের ডাগআউটেই থাকতে হবে। যেই দর্শকরা এক সময় তাঁর জন্য হাততালি দিয়েছিল, আজ তারাই চাইবে তাঁর পরাজয়। বার্সা-সিটির ম্যাচটা গার্দিওলার জন্য অনেক বেশি আবেগের।
কিন্তু খেলায় তো আবেগের জায়গা নেই। আজকে কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে সিটির সামনে, ব্যাপারটা গার্দিওলা ভালমতোই জানেন। ইতিহাসও তাঁর পক্ষে কথা বলছেনা। বার্সার সাথে আগের ৪ বারের দেখায় প্রত্যেকবারই হেরেছে সিটি। তবে গার্দিওলা যেহেতু মেসিদের ভালোভাবেই চেনেন তাই এবার কিছুটা হলেও ভরসা পাচ্ছে সিটির সমর্থকেরা। দলের খেলোয়াড়রাও ব্যাপারটা খোলাখুলি বলেছেন। মিডফিল্ডার ইলকে গুনদোগান তো বলেই দিয়েছেন বার্সাকে হারানোর কৌশল জানেন গার্দিওলা!
কৌশল জেনেও কতটুক লাভ হবে তা যদিও খেলার সময়ই বোঝা যাবে। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসাবে ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। দুই বছর আগে বায়ার্নের হয়ে ন্যু ক্যাম্পে এসে ৩-০ গোলে হারতে হয়েছিল। বার্সার বিপক্ষে ইংলিশ ক্লাবগুলোর রেকর্ডটাও বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে গার্দিওলার জন্য। ইংলিশ দলগুলোর বিপক্ষে প্রায় ৭৬ টি ম্যাচ খেলেছে বার্সা। জিতেছে ৩৭ টি ম্যাচ, হার ২০ টিতে। ২০১৩ সালের পর থেকে নিজেদের মাঠে তো আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগে গত তিন বছরে ন্যু ক্যাম্পে কোনো ম্যাচ হারেনি, জিতেছে টানা ১১টি ম্যাচ। তার ওপর গার্দিওলার অ্যাওয়ে ফর্মটাও চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো যাচ্ছে না, সর্বশেষ সেল্টিকের মাঠে গিয়েও ড্র করে আসতে হয়েছে।
গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। মৌসুমটা দারুণভাবে শুরু করলেও হুট করেই খেই হারিয়ে ফেলেছে সিটি। গার্দিওলা কি পারবেন বার্সার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিটিকে জয়ের মুখ দেখাতে?