• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্সা গেরো কাটলেন গার্দিওলা

    বার্সা গেরো কাটলেন গার্দিওলা    

    শেষ পাঁচ দেখায় জয় নেই একটিতেও। এর মধ্যে ক্যাম্প ন্যুতে ৪-০ হারের লজ্জা একএখনো তরতাজা। কিন্তু এতসব বাধা-প্রতিকূলতা টপকে বার্সাকে অবশেষে হারিয়েছে সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মেসির গোলের পরেও গুন্ডোগানের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছে সিটিজেনরা।

     

    মেসি, আগুয়েরোদের মত তারকাঠাসা ম্যাচটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন রেফারি। ভিক্টর কাসাইয়ের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত খেলার ফলাফলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বার্সার পক্ষেই গেছে অধিকাংশ সিদ্ধান্ত। বেশ কিছু হলুদ কার্ডতুল্য ফাউলেও বাঁশি বাজাননি। ১২ মিনিটে সিটিকে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন রেফারি। বার্সার বক্সে স্টার্লিংকে ফেলে দেন উমতিতি। পেনাল্টি তো পাননি, উলটো 'ডাইভ' দেওয়ার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন স্টার্লিং। কিন্তু সিটির স্রোতের বিপরীতে লিড নেয় বার্সা। ২১ মিনিটে কাউন্টারে নেইমারের সাথে দারুণ এক ওয়ান-টুতে নিজের শততম স্টার্টে সিটির জালে আবারো বল জড়ান মেসি। এই গোল দিয়ে গ্রুপপর্বে রাউলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড (৫৩) ভাঙ্গলেন লা পুলগা। ইংলিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ ১৪ ম্যাচে এটি মেসির ১৬তম গোল।

     

    গ্রুপপর্বের মাত্র চার ম্যাচ শেষেই নেইমারের অ্যাসিস্ট সংখ্যা ছয়টি। ইউসিএলে এই মৌসুমে এটি মেসির সপ্তম গোল, যেখানে গত মৌসুমেই জাল খুঁজে পেয়েছিলেন মাত্র ছয়বার! ৩৯ মিনিটে অবশ্য সমতায় ফেরে সিটি। রবার্তোর ভুলে স্টার্লিংয়ের পাস থেকে সিটিকে ম্যাচে ফেরান গুন্ডোগান। ১-১ সমতায় শেষ হয় রুদ্ধশ্বাস এক প্রথমার্ধ।

     

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও গতিশীল ফুটবলই খেলেছে দুই দল। কাউন্টারে বার্সাকে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছে সিটি। ওতামেন্ডি, স্টার্লিংরা মিসের মহড়ায় না মাতলে ব্যবধানটা আরো বড়ও হতে পারতো। কিন্তু ৫১ মিনিটে ঠিকই লিড নেয় সিটি। ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত এক ফ্রিকিক টার স্টেগেনকে পরাস্ত করে জালে প্রবেশ করে। '০৯-'১০ মৌসুমে জুনিনহোর পর এই প্রথম ফ্রিকিকে গোল হজম করলো বার্সা। ভাগ্যদেবী যেন আজ সিটির দিকে ফিরে তাকাতেই চাননি। ডি ব্রুইন, ওতামেন্ডিদের মিসকে দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কি-ই বলবেন আপনি! ওদিকে ৬৭ মিনিটে সমতায় প্রায় ফিরেই এসেছিল বার্সা। সুয়ারেজের পাস থেকে আন্দ্রে গোমেজের শটে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি কাতালানদের। এতশত মিসের পরেও ৭৪ মিনিটে বিতর্কিত এক গোলে জয় নিশ্চিত করেন সেই গুন্ডোগানই। নাভাসের ক্রস আগুয়েরোর হাতে লেগে ফিরে আসে তার পায়ে।

     

    সেখান থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই জার্মান। এ নিয়ে শেষ দুই ম্যাচে চার গোল করলেন গুন্ডোগান। ইঞ্জুরির ফাঁড়া কাটিয়ে নিজেকে যেযেন আবারো খুঁজে পাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে এমএসএন কেও ঠিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। মধ্যমাঠে ইনিয়েস্তার শৈল্পিক ছোঁয়ার অভাব ছিল স্পষ্ট। এই জয়ে বার্সার সাথে ব্যবধান দুইয়ে নামিয়ে আনলো সিটি। ৪ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট ৯, সিটির ৭। গ্লাডবাখ, সেল্টিক ম্যাচটি ড্র হওয়ায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকলো জার্মানরা।