টটেনহ্যামের ধাক্কা, ঠিক পথেই আছে লেস্টার সিটি
মৌসুমের শুরুতে নিজেদের দর্শকদের সুবিধা করে দিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য আলাদা করে হোম ভেন্যু ঠিক করেছিল টটেনহ্যাম। এই নিয়ে উত্তেজনাও কম ছিল না নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে হেরে সেই উত্তেজনায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। আজ আবারও নিজেদের ঘরের মাঠেই হেরে যাওয়ায় ওয়েম্বলিকে এখন 'অপয়াই ভাবতে পারেন স্পার্স সমর্থকেরা। সব প্রতিযোগিতায় শেষ চার ম্যাচের সব ক'টিতেই হারতে হয়েছে টটেনহ্যামকে।
সিএসকেএ আর বেয়ার লেভারকুসেনকে তাঁদের মাঠে গিয়ে হারিয়ে আসলেও নিজেদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচে লেভারকুসেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে টটেনহ্যাম। আর নিজের স্পার্স ক্যারিয়ারে এই প্রথম টানা ছয় ম্যাচ জয়হীন থাকলেন মারুসিও পচেত্তিনো। কেভিন কাম্পালের ৬৫ মিনিটের গোল স্বস্তির জয় এনে দিয়েছে লেভারকুসেনকে।
এই ম্যাচে হেরে টটেনহ্যামের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সমীকরণ এখন অনেকটাই কঠিন। গ্রুপের অন্য ম্যাচে মোনাকো ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিএসকেএ মস্কোকে। তাই ৮ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষ স্থানটা এখন ফ্রেঞ্চ ক্লাবের দখলে। আর দ্বিতীয়তে আছে লেভারকুসেন। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে টটেনহ্যাম।
সিএসকেএকে ৩-০ গোলে হারানোর সবচেয়ে বড় অবদানটা মোনাকো অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাওয়ের। কলম্বিয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলেই সহজ জয় নিশ্চিত হয়েছে মোনাকোর। ফ্যালকাও নিজেও ম্যাচটা মনে রাখবেন আলাদা করেই। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল পেলেন এই স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধেই হয়েছে ম্যাচের সবগুলো গোল।
অন্যদিকে টটেনহ্যাম না পারলেও নিজেদের ধারাবাহিকতাটা ঠিকই ধরে রেখেছে লেস্টার সিটি। জিততে অবশ্য পারেনি তারা; তবে গোল হজম না করার রেকর্ডটা অটুট রেখেছে এই ম্যাচেও। এফসি কোবেনহেভেনের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এই প্রথম অভিষেকেই কোনো দল টানা চার ম্যাচে গোল হজম না করেই কাটিয়ে দিল! ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেই আছে লেস্টার সিটি। গ্রুপ 'জি'এর দুই পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তো আর ক্লাব ব্রুজের খেলায় জয় পেয়েছে পোর্তোই। ব্রুজকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। সেই সুবাদে কোবেনহেভেনকে ঠেলে দ্বিতীয় স্থানের দখলটা নিয়েছে পোর্তোই, ৭ পয়েন্ট নিয়ে।
গ্রুপ 'এইচে' দুইটি ম্যাচ হয়েছে দুইরকম। এই গ্রুপের দুই ফেভারিট জুভেন্টাস আর সেভিয়ার ভাগ্যেও জুটেছে দুই রকম পরিণতি। বড় জয় পেয়েছে সেভিয়া। আর এগিয়ে থেকে শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে হোঁচট খেয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন জিয়ানলুইজি বুফন। শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। তবে ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে সেটপিস থেকে গোল হজম করে ঘরের মাঠে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় জুভেন্টাসকে। অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ের পর শীর্ষস্থানটাও হাতছাড়া হয়েছে জুভেন্টাসের। দুই পয়েন্ট এগিয়ে থেকে সবার উপরে আছে সেভিয়া। ডিনামো জাগরেবকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে সাম্পাওলির দল।