আবারও হারল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
আগের ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেনারবাচেকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিলেও ফিরতি লেগের ম্যাচটা যে সহজ হবে না তা আগে থেকেই জানা ছিল মরিনহোর দলের। একে তো ফেনারবাচের মাঠ, তার উপর গত পাঁচ ম্যাচে এই মাঠে তুরস্কের দলটিকে হারাতে পারেনি ইউরোপের কেউই। ইস্তানবুলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেই শঙ্কাটাই সত্যি হল। ২-১ গোলে ফেনারবাচের কাছে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের মাত্র ৯০ সেকেন্ডে মুসা সো দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে চমকে দেন ডেভিড ডি গিয়াকে। বল জড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথম একাদশে রবিন ভ্যান পার্সির জায়গায় খেলতে নেমে গোল করেই ফেনারবাচে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান সো।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফেনারবাচের আক্রমণভাগে একের পর এক নিষ্ফলা চেষ্টার পর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে পগবার ইনজুরি। ম্যাচের আধঘন্টা পার না হতেই মাঠ ছাড়তে হয় আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডারকে। তার জায়গায় নামেন ইব্রাহিমোভিচ। সুইডিশ স্ট্রাইকারও শেষ পর্যন্ত পারেননি ম্যাচের মোড় ঘুরাতে। রেড ডেভিলদের আরও একটি প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য থেকেই। এই নিয়ে নিজেদের শেষ আট ম্যাচের সাতটিতেই প্রথমার্ধে গোল করতে ব্যর্থ হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে জেরেমাইন লেনস ফেনারবাচের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। আর্মেনিয়ান মিডফিল্ডার হেনরিক মিখিতারিয়ানকে নামিয়ে প্রায় দুই গোলে পিছিয়ে থাকা অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়ার লড়াইয়ে নামেন মরিনহো। তাতে আক্রমণে ধার বেড়েছিল ঠিকই, গোলও এসেছিল; তবে বড্ড দেরী করে।
৮৯ মিনিটে ওয়েইন রুনি ডি বক্সের বাইরে ২৫ গজ দূর থেকে দেখার মতো এক গোল করেন। রুনির ওই গোলের পর যোগ করা সময়ের পুরোটা জুড়েই ফেনারবাচের রক্ষণকে একেবারে চেপে ধরেন রুনি, হেরেরা, মিখিতিরিয়ানরা। শেষ মূহুর্তে মনোসংযোগ না হারিয়ে চাপটা ভালোই সামাল দেন ফেনারবাচের ডিফেন্ডাররা। রুনির গোল তাই কেবল ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য।
এই ম্যাচ থেকে রুনির গোলে ফেরত আসাটাই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের জন্য একমাত্র পাওয়া হয়ে থাকল তাই। ১১ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন ইংলিশ অধিনায়ক। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ভ্যান নিস্টলরয়ের ৩৮ গোলের রেকর্ডটা রুনি ছুঁয়েছেন ডি-বক্সের বাইরে থেকে করা ওই গোল দিয়েই।
ফেনারবাচের কাছে হেরে এখন ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেও বিদায় নেয়ার শঙ্কা জেগেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। গ্রুপে ফেনারবাচে আর ফেইনুর্দের পর তৃতীয় স্থানে আছে রেড ডেভিলরা। তিন দলের পয়েন্ট ব্যবধান অবশ্য মাত্র এক।