• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সেই বায়ার্নকেই হারাল রস্টভ

    সেই বায়ার্নকেই হারাল রস্টভ    

    এফসি রস্টভ। রাশিয়ার ৮৬ বছর বয়সী দলটি এবারই প্রথম খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মূলপর্বে। বায়ার্নের সঙ্গে আগের ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল ৫-০ গোলে। সেখানে নিজেদের মাঠে জয়ের আশা করা অনেকটা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতই। কিন্তু এই অসম্ভবটাই সম্ভব করে দেখিয়েছে রাশিয়ার ছোট্ট দলটি। নিজেদের মাঠ রস্টভ স্টেডিয়ামে 'গালিভার' বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ে জন্ম দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রূপকথার!

    আলাবা, নয়্যাররা না থাকলেও কেউ মনে হয় ঘুণাক্ষরেও এমন ফলাফল আশা করেনি। ৯ মিনিটে অনভিজ্ঞ কিপার উলরিচের ভুলে ইয়েরোকিনের হেড বার্নাট লাইন থেকে না বাঁচালে পিছিয়েই পড়তো বায়ার্ন। এরপর থেকে স্বভাবসুলভ আধিপত্য বিরাজ করতে থাকে বায়ার্ন। সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখাটা পাওয়া হচ্ছিল না আর। ৩৬ মিনিটে সেই ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেন ডগলাস কস্তা। পর্তুগীজ রেনাটো সানচেজের ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেনি রস্টভ রক্ষণভাগ। বক্সে বল পেয়ে বাঁকানো নিখুঁত এক শটে বায়ার্নকে লিড এনে দেন এই ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু রস্টভ হাল ছাড়েনি। মাত্র আট মিনিট পরেই ফুটবলবিশ্বকে চমকে সমতায় ফেরে রস্টভ। ৪৪ মিনিটে পলোজের ক্রস নিয়ন্ত্রণে এনে ঠান্ডা মাথার ফিনিশে গোল শোধ করেন আজমুন। ম্যাচের আরো এক অর্ধ বাকি থাকলেও এই গোলেই বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে রস্টভ সমর্থকেরা। কিন্তু এরপর যা ঘটেছে তা আসলেই বর্ণনাতীত...

     

    দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো বায়ার্ন। রিবেরির চমৎকার ক্রস থেকে বাইরে হেড করে সুযোগ হাতছাড়া করেন কাপ্তান লাম। এর মিনিটখানেক পরেই পেনাল্টি পায় রস্টভ। ক্রিশ্চিয়ান নোবোয়াকে হাস্যকরভাবে বক্সে ফেলে দেন বোয়াটেং। পুরো ম্যাচ জুড়ে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন এই তারকা জার্মান ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি পলোজ। ম্যাচে নি:সন্দেহে রস্টভের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন পলোজ। রস্টভ সমর্থকদের উল্লাস এবারো স্তমিত হয়ে যায় অল্পক্ষণ পরেই। মিনিট চারেক পর দলকে সমতায় ফেরান বার্নাট। পলোজ, নোবোয়া, আজমুনদের সামাল দিতে রীতিমত হিমশিমই খেয়েছে বায়ার্ন। ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে ম্যাচে দলকে দ্বিতীয়বারের মত লিড এনে দেন নোবোয়া। ৮৬ মিনিটে বায়ার্নকে পেনাল্টি দিলেও লাইন্সম্যানের অফসাইড ঘোষণার কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন রেফারি। থিয়াগো, মুলার, লেওয়ান্ডস্কিরা জ্বলে উঠতে না পারায় ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রস্টভ। ৮৬ বছর পুরনো ক্লাব হলেও এটিই যে তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ফলাফল, তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

    এই হারে নিশ্চিতভাবে ডি গ্রুপে দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ার্ন। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৯। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থান নিশ্চিত করেছে অ্যাটলেটিকো। আর নিজেদের সর্বকালের সেরা ফলাফলে ইউরোপা লিগে খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে রস্টভ।