মেসিই জেতালেন বার্সেলোনাকে
গত সপ্তাহে মালাগার বিপক্ষের ড্রতে মেসির অনুপস্থিতি প্রকটভাবে চোখে পড়েছিল। অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরলেন মেসি, জয়ের ধারায় ফিরলো বার্সাও। আর্জেন্টাইন জাদুকরের জোড়া গোলে সেল্টিককে ০-২ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা।
১২-১৩ মৌসুমে এই মাঠেই বার্সাকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল সেল্টিক। আজ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে নামা সেল্টিক মাত্র দশ মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারতো দুই গোলে। ৯ এবং ১০ মিনিটে দু দুটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। ১৬ মিনিটে আবারো পেয়েছিলেন গোলের সুযোগ। এবারো বাইরে দিয়ে চলে যায় মেসির শট। কিন্তু ২৪ মিনিটে আর শেষরক্ষা হয়নি সেল্টিকের। নেইমারের চমৎকার পাসে মেসির চকিত শট ঠেকাতে পারেননি গর্ডন। লুইস এনরিকের অধীনে এটি ছিল বার্সার ৪০০তম গোল, যার ৭২ শতাংশই(২৮৭টি) এসেছে 'এমএসএন' এর কাছ থেকে। এই অ্যাসিস্টের সুবাদে ইউসিএল ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের(৭) রেকর্ডে ছুঁলেন নেইমার। সেল্টিককে পেলেই হল নেইমারের। মাত্র ৪ ম্যাচে স্কটিশ দলটির বিপক্ষে বার্সার ১০টি গোলে (৪ গোল, ৬ অ্যাসিস্ট) হাত আছে এই ব্রাজিলিয়ানের। ৪১ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন সুয়ারেজ। ডান প্রান্ত থেকে মেসির ক্রসে তার হেড অবিশ্বাস্যভাবে বাঁচান গর্ডন। প্রথমার্ধে বেশকিছু 'হাফ চান্স' পেলেও টার স্টেগেনকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি দেম্বেলেরা। ০-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দু'বার এগিয়ে যেতে পারত সেল্টিক! ম্যাকগ্রেগর ও দেম্বেলে- কেউই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। এর মিনিটখানেক পরেই সেল্টিকের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় বার্সা। সুয়ারেজকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সা। পেনাল্টি জুজু এবার অবশ্য কাবু করতে পারেনি মেসিকে। গর্ডনকে পরাস্ত করে চলতি ইউসিএল মৌসুমে নিজের ৯ম গোল করলেন 'লা পুলগা'। ৮৩ মিনিটে মেসির সুযোগসন্ধানী পাস থেকে আবারো মিস করেন সুয়ারেজ। ০-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকে শিষ্যরা।
এই জয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম ক্লাব হিসেবে অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের 'সেঞ্চুরি' করলো বার্সা। ৫ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে বার্সা। গ্রুপের অপর ম্যাচে গ্লাডবাখের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে গার্দিওলার সিটি। শেষ ষোলতে জায়গা করে নিয়েছে উভয় দলই।