তুরানের হ্যাট্রিকে বার্সার বড় জয়
শীর্ষস্থানটা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। গ্লাডবাখেরও ইউরোপা লিগ খেলা নিশ্চিত হওয়ায় ম্যাচটা ছিল নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতা। নিয়ম রক্ষার ম্যাচটিতে মেসি, তুরানদের গোলে 'ফোহলেনহাফ' দের হারিয়েই শেষ ষোলতে গেল বার্সা। ঘরের মাঠে গ্লাডবাখের বিপক্ষে মেসিদের জয়টা ৪-০ গোলের।
ম্যাচের গুরুত্বহীনতায় লুইস এনরিকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন সুয়ারেজ, পিকেদের। সুয়ারেজের পরিবর্তে নামা আলকাসের গোল পাননি আজও। কিন্তু তাতেও মেসিরা ছন্দে ছেদ পড়েনি বিন্দুমাত্রও। শুরু থেকেই গ্লাডবাখকে চেপে ধরা বার্সার গোল পেতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। আরদা তুরানের সাথে চমৎকার বোঝাপড়ায় বার্সাকে লিড এনে দেন মেসি। ক্যাম্প ন্যুতে খেলা ৫১টি ইউসিএল ম্যাচে এটি ছিল মেসির ৫১তম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার শেষ ৮ গোলে সরাসরি হাত আছে 'লা পুলগা'র (৭ গোল, ১ অ্যাসিস্ট)। চলতি বছরে মেসির ১৩তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোল ছিল এটি, ২০১৩ সালে করা নিজের রেকর্ডেই (১৬) ভাগ বসালেন এই আর্জেন্টাইন। প্রথমার্ধে বার্সার কাছে পাত্তাই পায়নি গ্লাডবাখ। বলার মত সুযোগও তৈরি করতে পারেনি একটিও। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরদা তুরান। ডেনিস সুয়ারেজের নিখুঁত ক্রসে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন তুরস্কের অধিনায়ক। এর মিনিট তিনেক পরেই আবারো জাল খুঁজে পান তুরান। ভিদালের পাস থেকে প্লেসিং শটে পরাস্ত করেন সমারকে। ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তুরান। আলকাসেরের ক্রস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো তুরানের শট ঠেকাতে পারেননি ইয়ান সমার। এক মৌসুমের গ্রুপপর্বে সর্বোচ্চ গোলের (২০) রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছে কাতালানরা। বার্সার ইতিহাসের সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক পেলেন আরদা। ৭৩ মিনিটে মেসির হেড সমার অবিশ্বাস্যভাবে না বাঁচালে আবারো হ্যাটট্রিক ও গ্রুপপর্বে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডেও ভাগ বসাতে পারতেন মেসি।
নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এবারই প্রথম গ্রুপপর্বের তিনটি হোম ম্যাচের তিনটিতেই ক্লিনশিট রাখলো বার্সা। গ্রুপের অন্য খেলায় সেল্টিকের সাথে ১-১ গোল ড্র করে গ্রুপ রানার আপ হিসেবে বার্সার সঙ্গী হয়েছে ম্যান সিটি। সপ্তাহের শুরুতে চেলসির কাছে হারের পর সেল্টিকের সাথেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতেই পারেন গার্দিওলা! শেষ ৬ হোম ম্যাচের চারটিতেই যে ড্রয়ের মুখ দেখেছে তার দল!
গ্রুপ এ-তে বাসেলকে তাদেরই মাঠে ১-৪ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লুকাস পেরেজ। দিনের সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটেছে এই গ্রুপেই। পিএসজিকে তাদেরই মাঠে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে লুডোগোরেৎস। এর সুবাদে ২০১১-১২ মৌসুমের পর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোল-তে গেলেন ওজিল, সানচেজরা। গ্রুপ বি-তে বেসিকতাসকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ডায়নামো কিয়েভ। বার্সার মতই আরেক নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ডি গ্রুপে লেভানডফস্কির দুর্দান্ত ফ্রিকিকে অ্যাটলেটিকোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বায়ার্নকে।