• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    "ওয়েঙ্গার, আপনি ক্লাবটাকে মেরে ফেলছেন"

    "ওয়েঙ্গার, আপনি ক্লাবটাকে মেরে ফেলছেন"    

    এমিরেটসের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ। ব্যানারে লেখাগুলো থেকেই সেটি আঁচ করা যায়, "আর্সেন ওয়েঙ্গার, আপনি ক্লাবটাকে মেরে ফেলছেন"; "একজন একগুঁয়ে, নির্বোধ লোক", "আমরা আর কোনো চুক্তি চাই না", "সবকিছুরই একটা শেষ আছে"। বোঝাই যাচ্ছিল, যে কোচ ২১ বছর ধরে ক্লাবকে আগলে রেখেছেন, তিনি এখন হারিয়ে ফেলেছেন সমর্থকদের আস্থা। বায়ার্নের কাছে অ্যাগ্রিগেটে ১০-২ গোলে হারের পর যে ওয়েঙ্গারকে আর চাইছে না আর্সেনাল সমর্থকেরা। 


    এমিরেটসের বাইরে যখন যখন এই প্রতিবাদ, খেলা থেমে গেছে তার অনেক আগেই। শুরুতে একটা গোল দিয়ে অন্তত সান্ত্বনার জয়ের আশা জাগিয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু কসিয়েলনির লাল কার্ডের পর বায়ার্ন আর দাঁড়াতেই দেয়নি স্বাগতিকদের। হঠাৎ করে ধেয়ে আসা গোলের তোড়ে ভেসে গেছে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণের পর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে সমর্থকদের। কিন্তু ওয়েঙ্গার এখন কী বলবেন? 


    নিজের ভবিষ্যত নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি ওয়েঙ্গার। তবে কাল ম্যাচ শেষে দায় চাপিয়েছেন রেফারির ওপর। কসিয়েলনিকে লাল কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তটাই প্রশ্নের মুখে তুলেছেন। কেন প্রথমে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরে আবার লাল কার্ড দেখানো হল, সেটা নিয়েই খেপেছেন ওয়েঙ্গার। মনে করিয়ে দিচ্ছেন, লেভানডফস্কির প্রথম গোলটাই অফসাইড থেকে ছিল, "আমি খুবই হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। কিছুই বলার নেই আমার। এটা শুধু ন্যাক্কারজনক নয়, কেলেঙ্কারিও বটে। আমি জানি, আমাকে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হবে, মাঠেও এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। কিন্তু এরকম হলে কিছু করার থাকে না।"


    ওয়েঙ্গার বলছেন, প্রথমার্ধে ওয়ালকট একটা পেনাল্টিও পেতে পারতেন। সেটা থেকে গোল পেলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকমও হতে পারত, "আমি নিজেদের দুর্ভাগা বলব। প্রথমার্ধে আমরা বায়ার্নকে চেপে ধরেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে রেফারি খেলাটা মেরে ফেলেছেন।"


    কিন্তু ওয়েঙ্গার যা-বলুন, আর্সেনাল সমর্থকদের ক্ষোভ কি কমবে?