এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতিহাস গড়ল লেস্টার সিটি
ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ইউরোপে খেলতে এসেছিল লেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার পরের মৌসুমে ঘরোয়া লিগে সময়টা ভালো না গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিল ফক্সরা। তবুও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফক্সদের শেষ ষোলতে জায়গা করে নেয়াটাও ছিল চমক। এবার সেই চমকটাকে ইতিহাসে পরিণত করল লেস্টার সিটি। প্রথম লেগে ২-১ এ হারের পরও কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে হোর্হে সাম্পাওলির সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখের মতোই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে লেস্টার সিটি।
প্রথম লেগে এই সেভিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের পর প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থতার দায়ে ছাঁটাই করা হয়েছিল লেস্টার সিটি রূপকথা জন্ম দেয়া কোচ ক্লদিও র্যানিয়েরিকে। ইতালিয়ানের কোচের বিদায়ের পর লিগে টানা দুই জয় দিয়ে ফিরে এসেছে লেস্টার সিটি। এবার দ্বিতীয় লেগে সেভিয়াকেও বিদায় করে দিয়ে প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ আটে পা রাখল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
লেস্টার সিটির ইতিহাস গড়ার রাতে গোল করেছেন ওয়েস মরগান ও অলব্রাইটন। সেট পিস থেকে প্রথমার্ধেই এক গোল করে লেস্টার সিটিকে স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক ওয়েস মরগ্যানই। ২৭ মিনিটে গোলটি আসে সেটপিস থেকে। দুই লেগ মিলিয়ে তখনও সমতায় থাকলেও অ্যাওয়ে গোলে লেস্টার সিটিই তখনও এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই অলব্রাইটন গোল করে আরও একবার এগিয়ে দেন লেস্টার সিটিকে। ওই গোলের বিশ মিনিট পরেই ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। ৭৪ মিনিটে জেমি ভার্ডিকে মাথা দিয়ে গুঁতো দেয়ার অপরাধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সামির নাসরি। দশ জনের দলে পরিণত হয়েও ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। ৮০ মিনিটে ক্যাসপার স্মাইকেল ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসেন সেভিয়াকে।
পরে অবশ্য তিনিই হয়ে যান ম্যাচের হিরো। স্টিভেন এনজনজির শট ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন দলকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম লেগের পর দ্বিতীয় লেগেও পেনাল্টি ঠেকানো একমাত্র গোলকিপার এখন ক্যাসপার স্মাইকেলই। আর সেই সাথে দুই লেগে দুই পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় সেভিয়ার বিদায়ও।
রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য খেলায় এফসি পোর্তোকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগে মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসও। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন পাউলো দিবালা।