'পিএসজি আর জুভেন্টাস এক নয়'
২০১৫ সালে এই বার্সেলোনার কাছে ফাইনালে হেরেই দুই দশক পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নটা ভেঙে গিয়েছিল জুভেন্টাসের। দুই বছর বাদে যখন দু’ দল ইউরোপসেরা নির্ধারণের টুর্নামেন্টটির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, জুভেন্টাস ও ইতালির সাবেক তারকা গোলরক্ষক দিনো জফ বলছেন বার্সেলোনাকে এখন আর ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের।
শেষ ষোলর লড়াইয়ে প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ০-৪ গোলে হেরেও পরের লেগে ৬-১ ব্যবধানে জিতে নাটকীয়ভাবেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। এমন অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো দলকে ভয় পাওয়ার কি যথেষ্ট কারণ থাকছে না জুভেন্টাসের? জফ সেটা মনে করেন না, “একদমই না। পিএসজির কাছে বার্সেলোনার হার আর তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ দুটোই তো জুভেন্টাসও দেখেছে। আমার মনে হয় না এমন ফলাফলে জুভের মতো দলের বিচলিত হওয়ার কিছু আছে।”
আলেগ্রির দলের বিপক্ষে কি এমন কিছু করা সম্ভব মেসিদের পক্ষে? “আমার মনে হয় না। এই ধরণের লড়াইয়ে পিএসজির চেয়ে জুভেন্টাসের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। জুভেন্টাসের বিপক্ষে তাই এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না, কখনোই না।”
দুই বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ট্রেবল জিতেছিল লুইস এনরিকের দল। কাতালানদের দলটা তাই সমীহ করার যথেষ্ট কারণ থাকলেও ইতালির ‘৮২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলরক্ষক বলছেন জুভেন্টাসও দুই বছরে অনেক বদলে গেছে, “বার্সেলোনা এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। কিছু খেলোয়াড় হয়ত বদলে গেছে, কিন্তু তাঁদের আক্রমণভাগ এখনও সেরা- যে কোনো রক্ষণভাগের জন্য মাথাব্যাথার কারণ। তবে ওই ফাইনালের পর থেকে জুভেন্টাসও অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, ওই ফাইনালেও করেছে। তাঁরা গঞ্জালো হিগুয়েন, সামি খেদিরার মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। এই দলটা তাই এখন অনেক বেশি পরিণত।”
জুভেন্টাসের শক্তিটা কোনো একক খেলোয়াড় নয়, পুরো দলটাই। আর সেটাই বার্সেলোনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন জফ, “জুভেন্টাসের কথা যখন আমরা বলি তখন গোটা দলটার কথাই বলি, আলাদা করে কোনো খেলোয়াড়ের কথা নয়। যুগকাল ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। আর তাই বার্সেলোনা জেতার জন্য যতই মরিয়া থাকুক না কেন, এবার তাঁদেরকে যথেষ্টই শক্ত এক প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে হবে।”