• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বায়ার্নকে হারালেই শিরোপা রিয়ালের?

    বায়ার্নকে হারালেই শিরোপা রিয়ালের?    

    বায়ার্ন মিউনিখকে তাঁদের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে এক পা দিয়েই রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ রাতে নিজেদের মাঠে ফলটা ধরে রাখতে পারলে একটু আগ বাড়িয়ে লস ব্ল্যাংকোদের হাতে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটাও তুলে দেয়া যায়! ইতিহাস অন্তত তেমনটাই বলে। ইউরোপসেরা নির্ধারণের টুর্নামেন্টটিতে জার্মান জায়ান্টদের যতবার কোয়ার্টার বা সেমিফাইনালে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ততবারই শিরোপা গিয়েছে তাঁদের ঘরে।

     

    এ পর্যন্ত ৩ বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট বা শেষ চার থেকে বায়ার্নকে বিদায় করেছে রিয়াল। আর প্রতিবারই শিরোপা জিতেছে তাঁরা। রিয়ালের অষ্টম, নবম আর দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এসেছে নক-আউটে বায়ার্ন-বধ করে।

     

     

    ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে বায়ার্নের কাছে দু’ লেগেই হেরেছিল (২-৪ ও ৪-১) ভিসেন্তে দেল বস্কের রিয়াল। সেই বায়ার্নকেই শেষ চারে পেয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তাঁরা। সেখানে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে জিতে নেয় নিজেদের অষ্টম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।

     

    এক মৌসুম বাদে ২০০১-০২ এ দেল বস্ক বাহিনী বাভারিয়ানদের মুখোমুখি হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠ থেকে ২-১ গোলে হেরে ফিরলেও বার্নাব্যুতে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে শেষ চারে পৌঁছয় রিয়াল। সেমিতে স্বদেশী রাইভাল বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে আরেক জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে আসে রিয়ালের নবম ইউরোপসেরার মুকুট।

     

    দশম শিরোপাটার জন্য অবশ্য এরপর এক যুগ অপেক্ষা করতে হয় লস ব্ল্যাংকোদের। শেষ আট বা চারে বায়ার্নকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছিল না বলেই হয়তো! ২০১৩-১৪ মৌসুমে আবার যখন হল দেখা, গার্দিওলার বায়ার্নকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠেন রোনালদোরা। ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে আসে বহুল আরাধ্য ‘ডেসিমা’।

     

    নিজেদের দ্বাদশ ইউসিএল শিরোপা জয়ের মিশনে থাকা রিয়ালের সামনে আবারও শেষ আটে বায়ার্ন। প্রথম লেগে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ২-১ গোলের জয় রিয়ালকে কাগজে-কলমে তো এগিয়ে রাখবেই, আজ রাতে বার্নাব্যুর ম্যাচের আগেও তাঁদের প্রেরণা হতে পারে অতীত পরিসংখ্যান। রিয়ালের মাঠে শেষ ১০ ম্যাচের ৮টিতে হেরেছে বায়ার্ন, শেষ ৫ ম্যাচের সবক’টিতেই।

     

    ইউরোপসেরার মুকুটটা ধরে রাখার সব লক্ষণই তাই এখনও পর্যন্ত জিদানের দলের অনুকূলে!