• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিতে ম্যান ইউনাইটেড

    অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিতে ম্যান ইউনাইটেড    

    দুই লেগ মিলিয়ে ১৮০ মিনিটের খেলায় আলাদা করা যায়নি দু'দলকে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আটকে দিয়ে 'অঘটনের' স্বপ্নই দেখছিল অ্যান্ডারলেখট। দুই লেগে ২-২ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটা টাইব্রেকারের দিকেই গড়াচ্ছিল। তারপর একটা মুহুর্ত বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য। ১০৭ মিনিটে ড্যালে ব্লিন্ডের বাড়ানো লং বল হেড করে র‍্যাশফোর্ডের দিকে বাড়ান ফেলাইনি। ডান পায়ে বল রিসিভ করে দারুণ এক টার্ন নিয়ে বা পায়ের শটে জালে বল জড়িয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেন ১৯ বছর বয়সী র‍্যাশফোর্ড। আর তাতেই ইউরোপা লিগে অ্যান্ডারলেখটকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ চারে উঠে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইনাইটেড।



    বেলজিয়ামে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচ শুরুর আগে সুবিধাজনক স্থানে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই। শুরুটাও ছিল মরিনহোর দলের জন্য স্বপ্নের মতোই। খেলার ১০ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ানের গোলে ম্যাচে লিড নেয় মরিনহোর দল। তখন পর্যন্তও ম্যানইউনাইটেডের জন্য লড়াইটা সহজ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপরই আস্তে আস্তে ম্যাচটা মরিনহোর হাত থেকে ফোঁসকে যেতে থাকে। ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো মাঠ ছাড়েন ইনজুরি নিয়ে। সেই সুযোগে ৩২ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল করে বসে অ্যান্ডারলেখট। সোফাইন হান্নির গোল স্তব্ধ করে দেয় ওল্ড ট্রাফোর্ডকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।

    দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হন ইব্রাহিমোভিচ ও র‍্যাশফোর্ড। গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে না পারার দুঃখটা অবশ্য ম্যাচ শেষে ভুলেই যাবেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তবে ইব্রাহিমোভিচের জন্য অবশ্য রাতটা মধুর হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষের পর তাঁকেও মাঠ ছাড়তে হয় ইনজুরি নিয়ে। তবে দিনশেষে দলের জয়ে স্বস্তিই পেয়েছেন নিশ্চয়!




    এই ম্যাচ ছাড়াও ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের রাতটা ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। চার ম্যাচের তিনটিই দেখেছে অতিরিক্ত সময়। বেসিকতাস ও অলিম্পিক লিঁওর ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে খেলা শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৬-৫ ব্যবধানে বেসিকতাসকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিঁও। ইউরোপা লিগের শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে সেল্টা ভিগোরও।

    রোমাঞ্চকর আরেক কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে শালকে-কে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আয়াক্স। প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে জার্মান দল শালকের মাঠে খেলতে নেমেছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ সমতায় আনে শালকে। এরপর ৮০ মিনিটে জোয়েল ভেল্টম্যান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় আয়াক্স। দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    দানিয়েল ক্যালিজিউরি ১০১ মিনিটে গোল করলে ম্যাচে এগিয়ে যায় শালকে! কিন্তু খেলা শেষের নয় মিনিট বাকি থাকতে নিক ভিয়েরগেভার গোল করে শালকের সেমিফাইনাল স্বপ্নে জল ঢেলে দেন। ১২০ মিনিটে আরও এক গোল করে আয়াক্স। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডাচ দলটি।