মেসির রাতে উজ্জ্বল বার্সা
বলতে গেলে তাঁর হাত ধরেই মেসির আজকের মেসির হয়ে ওঠা। পেপ গার্দিওলা লিওনেল মেসির পায়ের কারিকুরি নিজ চোখে কম দেখেননি। আজ যখন গ্যালারিতে বার্সেলোনা দেখতে এসেছিলেন, মেসি যেন পুরনো গুরুকে নতুন করে মোহাবিষ্ট করলেন। জেমস মিলনারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে যেভাবে মেসি বল নিয়েছিলেন, গার্দিওলা অবিশ্বাসে নিজের মুখ ঢেকে ফেললেন!
ম্যাচের স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে, বার্সেলোনা ১-০ ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলে যেটি ৩-১। কিন্তু মেসি বল নিয়ে অবিশ্বাস্য যেসব কাণ্ড করেছেন যেটা লেখা থাকবে না। পুরো ম্যাচে অন্তত দশটি ড্রিবল করেছেন, নাটমেগ বা প্রতিপক্ষের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল নিয়ে গিয়েছেন তিনবার। রাকিটিচকে দিয়ে করিয়েছেন গোল। কিন্তু নেইমার, সুয়ারেজরা যদি বানিয়ে দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারতেন, বা মেসিই যদি শেষে ওই গোলটা দিতে পারতেন, বার্সা অন্তত ৪ গোল নিয়ে মাঠ ছাড়তে আরে। সেটা হয়নি অবশ্য জো হার্টের জন্য। পুরো ম্যাচে অন্তত বারপাঁচেক নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন।
তারপরও স্কোরবোর্ডে হার্টের কীর্তি লেখা থাকবে না। লেখা থাকবে সিটির পেনাল্টি মিস। হার্ট যদি অতিমানব হয়ে ওঠেন, টের স্টেজেনও তো খানিকটা হতে পারেন। সার্জো আগুয়েরোর ওই পেনাল্টি বার্সা গোলরক্ষক না ঠেকালে ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা আসত। এরপর সিটি আরেকটি গোল দিয়ে দিলে খেলাটা অন্যরকমও হতে পারত।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বার্সাকে আফসোস নিয়ে যেতে হয়নি, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে অনায়াসেই। অন্য ম্যাচে জুভেন্টাস ডর্টমুন্ডকে তাঁদের মাঠে এসে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। আগের লেগটা ২-১ গোলে জেতায় বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।