• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্তা দিয়েই শুরু 'এমএনসি'র

    বার্তা দিয়েই শুরু 'এমএনসি'র    

    ফ্রেঞ্চ লিগে গত সপ্তাহেই প্রথমবার একসাথে মাঠে নেমেছিলেন তারা তিনজন। মেটজের বিপক্ষে সেদিন গোল পেয়েছিলেন তিনজনই, ফুটবলবিশ্বও শুনেছিল নতুন এক দুর্ধর্ষ ত্রয়ীর আগমনী বার্তা। লিগে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেওয়ার পর আজ চ্যাম্পিয়নস লিগেও শুরুটা গোল দিয়েই করলেন এম্বাপ্পে-নেইমার-কাভানি। তিন ফরোয়ার্ডের গোলে সেল্টিককে তাদেরই মাঠে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগে শক্তিশালী শুরুই করলো পিএসজি। গ্রুপের অন্য ম্যাচে আন্ডারলেখটকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

     

    নেইমার-এম্বাপ্পেদের আটকাতে রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছিলেন সেল্টিক কোচ ব্রেন্ডন রজার্স। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি এতে, মাত্র ২০ মিনিটেই রাবিওতের পাস থেকে নেইমারের গোলে লিড নেয় পিএসজি। এই গোলে থিয়াগো সিলভা, ডি মারিয়া, কাভানি, ইব্রাহিমোভিচদের মতো পিএসজির হয়ে ইউসিএল অভিষেকেই গোলের দেখা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার।

    ৩৪ মিনিটে সেই তালিকায় ঢুকে যান এম্বাপ্পেও। ডানপ্রান্ত থেকে ভেরাত্তির ক্রসে মাথা ছুইঁয়ে কাভানির দিকে পাস বাড়ান নেইমার। কাভানি শট নিতে ব্যর্থ হলেও ভুল করেননি এম্বাপ্পে। জোরালো শট বল জড়ান জালে। এর মিনিট পাঁচেক পরই বাঁ-প্রান্ত থেকে লেভিন কুরজাওয়ার ক্রসে হেড করতে লাফিয়ে ওঠা কাভানিকে বক্সে ফেলে দেন সিমুনোভিচ, পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পটকিক থেকে এবার আর করতে ভুল করেননি কাভানি। প্রথমার্ধের ‘এমএনসি’ ঝড়ে লন্ডভন্ড সেল্টিক দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। ৮২ মিনিটে সেল্টিকের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে আসে লুস্টিগের আত্মঘাতী গোল। এর মিনিট তিনেক পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন কাভানি।

     


    ১৭-১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমের প্রথম দিনে রীতিমত গোলোৎসবে মেতেছিল ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো। বছর দুয়েক পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফেরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাসেলকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। ইউসিএল অভিষেকে গোল পেয়েছেন রোমেলু লুকাকু, মার্কোস রাশফোর্ড। অন্য গোলটি করেছেন মারুয়ন ফেলাইনি। তবে এই জয়েও খুব একটা স্বস্তি নেই ইউনাইটেড সমর্থকদের। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন পল পগবা।


    ‘বি’ গ্রুপে আন্ডারলেখটকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। গোল করেছেন রবার্ট লেভানডস্কি, থিয়াগো আলকান্তারা এবং জশুয়া কিমিচ। ১১ মিনিটে বায়ার্নকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার পাশাপাশি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন আন্ডারলেখটের কিউমস।

    তবে রাতের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে চেলসি। এক মৌসুম পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেই ‘পুঁচকে’ কারাবাগকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে কন্তের দল। বাতশুয়ায়ির জোড়া গোলের পাশাপাশি লক্ষ্যভেদ করেছেন পেদ্রো, জাপাকস্তা, অ্যাজপিলিকুয়েতা এবং বাকায়োকো। গোলশুন্য ড্র হয়েছে রোমা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ম্যাচটি। শত চেষ্টা করেও রোমার ব্রাজিলিয়ান ‘দুর্গ’ অ্যালিসনকে পরাস্ত করতে পারেননি গ্রিজমানরা। অলিম্পিয়াকোসের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছে স্পোর্টিং লিসবন। আর নিজেদের মাঠে সিএসকেএ মস্কোর কাছে ২-১ - গোলে হেরে গেছে বেনফিকা।