প্রতিপক্ষকে অসম্মান করায় চটেছেন মরিনহো
দুই মৌসুম পর চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটা খারাপ কাটেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ঘরের মাঠে বাসেলের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মরিনহোর দল। তবে এরকম জয়ের পরেও দলের ওপর খুব একটা খুশি হতে পারছেন না ইউনাইটেড কোচ। প্রতিপক্ষকে ‘অসম্মান’ করায় লুকাকু, র্যাশফোর্ডদের ওপর চটেছেন মরিনহো।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ইউনাইটেড ফেলাইনি ও লুকাকুর গোলে ৫৩ মিনিটেই ২-০ তে এগিয়ে যায়। কিন্তু এরপরই খানিকটা খেই হারিয়ে ফেলে তারা,কমে যায় আক্রমণের ধারও। শেষ পর্যন্ত ৮৪ মিনিটে র্যাশফোর্ডের পা থেকে আসে তৃতীয় গোল।
মরিনহো বলছেন, অনেক আগেই তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করতে পারত তার দল, “২-০ তে এগিয়ে যাওয়ার পর পুরো পরিস্থিতিই বদলে গেলো। আমরা তো অনেকটা চিন্তা করাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম! সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না, অনেকটা ‘প্লেষ্টেশন ফুটবল’ খেলছিলাম। প্রতিপক্ষকে নিজেদের ‘কৌশল’ দেখাতে গিয়ে ম্যাচের আসল লক্ষ্য ভুলে গিয়েছিল সবাই। প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখানো খুব জরুরী ফুটবলে।”
দুই বছর পর দল ফিরেছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে। অন্য ইংলিশ ক্লাবগুলোর মতো তাঁরাও অনেকটা পিছিয়ে আছে বলেই মানছেন মরিনহো, “রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুই হয় ফেব্রুয়ারি থেকে। এখন তো তারা গা গরম করছে! ফেব্রুয়ারিতে যখন ইংলিশ দলগুলো টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে, তখন ওই ক্লাবগুলো তৈরি হয়ে যায় এই গা গরম শেষে। আমরা এখনো ‘দ্বিতীয় স্তরে’ আছি। এই স্তরের প্রধান লক্ষ্য কোয়ালিফাই করা এবং কিছু পয়েন্ট পাওয়া। যদি নকআউট পর্বে চলেই যায় তাহলে ওই ‘বড়’ দলের সাথে ম্যাচ উপভোগ করা।”