এবারও পারল না শুধু লিভারপুলই
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে ড্র করেছিল লিভারপুল। শেষ ষোলোর পথ সুগম করতে আজ তাই জয়ের বিকল্প ছিল না ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের। তবে ছেড়ে কথা বলেনি ‘অল রেড’দের প্রতিপক্ষ রাশিয়ার চ্যাম্পিয়ন স্পার্টাক মস্কো। ১-১ গোলের ড্রতে ১৭-১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগমৌসুমের দুই ম্যাচ শেষে এখনো জয়হীন থাকলো লিভারপুল। ক্লপের দল ড্র করলেও জয় ঠিকই পেয়েছে অন্য দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং টটেনহাম।
ফিলিপ কুতিনহো, রবার্তো ফিরমিনো, মোহাম্মদ সালাহ এবং সাদিও মানে- প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আজই প্রথমবারের মত একত্রে নেমেছিলেন লিভারপুলের আক্রমণভাগের চার কান্ডারী। স্পার্টাকের বিপক্ষে প্রথম সুযোগটা তৈরি করেছিল লিভারপুলই। প্রথমার্ধের শুরুর দিকেই দুর্দান্ত ‘ডাবল সেভ’-এ সালাহ এবং ফিরমিনোকে রুখে দেন স্পার্টাক কিপার রেবরভ। ২০০৯ সালের পর থেকে ইউসিএল-এ ক্লিনশীটের খোঁজে থাকা লিভারপুলের অপেক্ষাটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করেন ফার্নান্দো। ২৩ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে এই ব্রাজিলীয়ানের দারুণ ফ্রিকিক লরিস কারিওসকে ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করে লিভারপুলের জালে। ম্যাচে ফিরতে অবশ্য খুব একটা সময় নেয়নি লিভারপুল। ৩১ মিনিটে মানের সাথে দারুণ এক ‘ওয়ান-টু’র পর ডানপায়ের নিখুঁত শটে নিজের প্রথম ইউসিএল গোলের দেখা পান কুতিনহো।
সমতায় ফেরার পর প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও স্পার্টাকের রক্ষণকে একাধিকবার পরীক্ষায় ফেলেছিল লিভারপুল। কিন্তু রেবরভ দুর্গকে আর ফাঁকি দেওয়া যায়নি। ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে মানে এবং স্টারিজের দুটি প্রচেষ্টা অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দিয়ে দলের জন্য মহামূল্যবান এক পয়েন্ট ছিনিয়ে আনেন এই কিপার।
প্রিমিয়ার লিগে অপ্রতিরোধ্য কেভিন ডি ব্রুইন, ডেভিড সিলভা, সার্জিও আগুয়েরোদের প্রথমার্ধে রুখে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি শাখতার দনেৎস্ক। ৪৮ মিনিটে সিলভার পাসে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে দলকে লিড এনে দেন ডি ব্রুইন। লিরয় সানে, রহিম স্টার্লিংরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরো বড় জয় নিয়েই ফিরতে পারতো ‘সিটিজেন’রা। এদিক থেকে আগুয়েরোও সমান ‘দোষী’। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও ১২ গজ থেকে শাখতার কিপার পিয়াতভকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন এই আর্জেন্টাইন। ম্যাচের একেবারে ৯০ মিনিটে সিলভার পাস থেকে গোল করে দলের জন্য তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন স্টার্লিং।
সিটির মতই নিজেদের দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে স্পার্স। তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের ‘পারফেক্ট হ্যাটট্রিক’-এ আপোয়েল নিকোসিয়াকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। চলতি বছরে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের মধ্যে সব প্রতিযোগীতায় সর্বোচ্চ গোল কেনেরই (৩৪)। ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের পরের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে মারুসিও পচেত্তিনোর দল।
স্পার্সের মত বড় জয় পেয়েছে সেভিয়াও। উইসাম বিন ইয়েদেরের হ্যাটট্রিকে মারিবোরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ‘ই’-গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে তারা। ‘এফ’ গ্রুপে ১৫ বছর পর ইউসিএল খেলতে আসা ফেইনুর্দকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে নাপোলি। গোল করেছেন দ্রিস মার্টেন্স, হোসে-মারিয়া কালেহন এবং লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। স্পার্স, সিটি এবং রিয়ালের মত ২ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বেসিকতাসও। প্রথমারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে আসা লাইপজিককে ২-০ গোলে হারিয়েছে তুরস্কের চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ২০০৪ ইউসিএল ফাইনালের মত মোনাকোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পোর্তো।