প্রতিশোধ ও স্মৃতিকাতরতার ম্যাচ
প্রতিশোধ শব্দটা ফুটবলে অনেক ব্যবহারে ক্লিশেই হয়ে পড়েছে। তারপরও আজকের ড্রয়ের পর সেই কথাটা একটু হলেও ফিরে আসার কথা মেসিদের মনে। দুই বছর আগে যে বায়ার্ন দুই লেগ মিলে ছিড়খুড়ে ফেলেছিল বার্সাকে, সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এখন পেয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারের ড্রতে যে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দুই দলকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্রটাই আসলে অনেকের জন্য নিজভূমে ফেরার। পেপ গার্দিওলার কথাই ধরুন। যে বার্সার হয়ে ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা কাটিয়ে দিয়েছেন, পরে কোচ হিসেবেও জিতেছেন সম্ভাব্য সবকিছু, সেই বার্সা-বধের জন্যই এখন ছক কষতে হচ্ছে তাঁকে। এক সময় লুইস এনরিকের সঙ্গে খেলেছেন, সেই এনরিকেকেই এখন ডাগআউটে মানতে হচ্ছে প্রতিপক্ষ। ৬ মে প্রথম লেগের ম্যাচ হচ্ছে ন্যু ক্যাম্পে, ১২ মে দ্বিতীয় লেগের খেলা হবে বায়ার্ন মিউনিখে।
৫ মে স্তাদিও দেল আপ্পিতে যখন রিয়াল মাদ্রিদ আসবে, একই রকম অনুভূতি হওয়ার কথা কার্লো আনচেলত্তিরও। রিয়াল কোচ অনেক ক্লাবের হয়েই কোচিং করিয়েছেন, ২০০৯ থেকে দুই বছর ছিলেন জুভেন্টাসেও। এই ক্লাবের হয়েই জিতেছিলেন নিজের প্রথম শিরোপা, ১৯৯৯ সালে উয়েফা ইন্টারটোটো কাপ। কোচ হিসেবেই অবশ্য জুভেন্টাসের সঙ্গে সাফল্য পীয়ছিলেন, ২০০৩ সালে এসি মিলানের হয়ে এই জুভদের হারিয়েই পেয়েছিলেন প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ।
আরও কয়েকজনের জন্য এই দুইটি ম্যাচ হবে স্মৃতিকাতর। থিয়াগো আলকানয়াতার যেমন ফিরছেন বার্সেলোনায়, যেখান থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন গার্দিওলা। আলভারো মোরাতাও রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এসেছেন মাত্র এই মৌসুমেই। জুভেন্টাসের হয়ে খেলার সময় পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে যাবে।