• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    স্থানীয়দের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট

    স্থানীয়দের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট    

    বিপিএল শুরুর আগে বশ কয়েক বছর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি। বিপিএল শুরুর পর সর্বশেষ ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। এবার আরও একটি নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু করতে যাচ্ছে বিসিবি। মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যই হবে এই আয়োজন।

    আজ মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলে বিপিএল গভর্নিং বডির সচিব ইসমেইল হায়দার মল্লিক নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই নতুন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। প্রথম মৌসুমের পর এই বছর বিপিএলে বিদেশীদের সংখ্যা চার থেকে বেড়ে হয়েছে পাঁচ। মল্লিক জানালেন, শুরুতে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকায় তাদের অনুরোধেই একজন বিদেশী খেলোয়াড় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে একটি দল কমে গেলেও সিদ্ধান্তটি আর পরিবর্তন করা যায়নি। সেজন্য প্রতিটা দলে একজন করে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সুযোগও  কমে গেছে। সেটার জন্য বিসিবি নতুন করে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক হবে না, বিসিএলের মতো চার থেকে পাঁচটি দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট হবে। ইসমেইল হায়দার জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় খেলোয়াড়দের টি-টোয়েন্টির জন্য আরও বেশি প্রস্তুত করা।

    ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের পাশাপাশি পৃথিবীর অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো এমন টুর্নামেন্ট নিয়মিতভাবেই আয়োজন করে। পাকিস্তানে এখন যেমন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য বিপিএল খেলতে পারছেন না তাদের খেলোয়াড়েরা। নতুন এই টুর্নামেন্ট কখন কবে হবে সেটা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি। ক্রিকেটারদের বার্ষিক সময়সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে আয়োজন করা হবে। প্রতি বছরই যে হবে, সেই নিশ্চয়তাও দেননি ইসমাইল হায়দার। টুর্নামেন্টটা পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি হবে না বলেও জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার।

    একই প্রসঙ্গে বিপিএলে বিদেশীদের সংখ্যা কমানো উচিত কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠল। হায়দার দাবি করলেন, বিদেশীদের পাশাপাশি দেশীরাও সুযোগ পাচ্ছে। একদমই যে সুযোগ পাচ্ছে না , তিনি তা মানলেন না। বরং জোর দিলেন, সুযোগ পেলে সেটি কাজেও লাগাতে হবে। বরং বললেন, বিদেশীদের পাঁচজন যে খেলাতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। স্থানীয়রা ভালো করলে তিনজন করে বিদেশী খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আছে, তাও মনে করিয়ে দিলেন।