• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মাশরাফির এক ওভারেই ম্যাচ হারলো সিলেট

    মাশরাফির এক ওভারেই ম্যাচ হারলো সিলেট    

    রংপুর ১৬৯/৭, ২০ ওভার (গেইল ৫০, ম্যাককালাম ৩৩, বোপারা ২৮, আবুল ২/২৪, ব্রেসনান ১/২৩)
    সিলেট ১৬২/৪, ২০ ওভার (সাব্বির ৭০, নাসির ৫০, মাশরাফি ১/১৮, রুবেল ১/৩০)
    ফল : রংপুর ৭ রানে জয়ী


    ২৪ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। জিয়াউর রহমানের আগের ওভারেই ১০ রান নিয়েছেন নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান। মাশরাফি বিন মুর্তজা বোলিংয়ে এলেন, দিলেন মাত্র ২ রান। ম্যাচ ঘুরে গেল সেখানেই। মাশরাফির কাছ থেকে যেন প্রেরণা নিলেন পেরেরা-রুবেলরা। প্রথম দুই ওভারে পেরেরা দিয়েছিলেন ২৭ রান, তিনিই ১৭তম ওভার করতে এসে একটি উইকেটসহ দিলেন ৭ রান। পরের ওভারে রুবেলও দিলেন ওই ৭ রানই। ৩ ওভারে তারা দিলেন ২৫ রান, ৭ রানে ম্যাচ জিতে গেল রংপুর! 

    মাশরাফির ওভার সহ পরের ১০ বলে ৭ রান উঠলো, চাপ নিতে না পেরে লং-অনে ক্যাচ দিলেন সাব্বির। অথচ এর আগেই জীবন পেয়েছেন, সহজ রান-আউটের সুযোগ মিস করেছিলেন মিঠুন। গত ম্যাচ থেকে যেন নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন সাব্বির, তবে হারলেন দুইটি ম্যাচই। এবার ৪৯ বলে ৭০ রানের ইনিংসও বিফলেই গেল। সাব্বিরের পর আর উইকেট গেল না, তবে সিলেট তো থমকে গেছে মাশরাফির করা ওই ১৭তম ওভারেই! 

    ১৭০ রানের লক্ষ্যে সিলেটের শুরুটা হয়েছিল অবশ্য যাচ্ছেতাই রকমের। ২৫ রানেই নেই ৩ উইকেট। গুনাথিলাকা, ফ্লেচার বা বাবর আজম, টিকতে পারলেন না কেউই। হাল ধরলেন সাব্বির ও নাসির। দুজনই করলেন ফিফটি, সিলেটকে নিয়ে গেলেন খুব কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হলো না। নাসির তো শেষ ওভারে ফিফটি করে ব্যাটটাও তুলতে পারলেন না! এতোদূরে এনেও দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে না পারলে কোন নাবিকই বা উল্লাস করতে পারেন! 

     

     

    এর আগে সিলেটের ব্যাটিংয়ে ছিল দুইটি অংশ। ম্যাককালাম-গেইলের আগে ও পরে। রংপুর রাইডার্সের হয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি দুইজন। সিলেট সিক্সারসের সঙ্গে ম্যাচটা বেছে নিলেন, ওপেনিং জুটিতেই এলো ৮০ রান। নাসির হোসেনকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কাউ-কর্নারে ম্যাককালাম দিলেন ক্যাচ, থিতিয়ে এলো রংপুরের ব্যাটিংয়ের গতি। 

    গেইল নিজের ফিফটি করা পর্যন্ত ছিলেন, তবে রংপুরের জন্য ছিলেন না আর কেউ। ম্যাককালাম আউট হওয়ার পর ১১.২ ওভারে রাইডার্সরা তুলতে পেরেছে মাত্র ৮৯ রান! 

    ম্যাককালামের আউটের পর গেইল টিকেছেন ২ ওভার। তবে দুজনের গড়ে যাওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে স্কোরটা আরও বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, শাহরিয়ার নাফিস বা থিসারা পেরেরারা। শেষ ওভারে এসে রান-আউট হয়েছেন ১২ বলে ২৮ রান করা রবি বোপারা। সে ওভারে রান-আউট হয়েছেন মাশরাফিও। শেষ ওভারে আবুল দিয়েছেন ৪ রান। 

    তবে লাগাম টেনে ধরেও কাজের কাজ হয়নি। মাশরাফির ওই এক ওভারের চাপই যে নিতে পারেনি সিলেট!