• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রংপুরকে 'ডেথ-ওভার' ফিরিয়ে দিল খুলনা

    রংপুরকে 'ডেথ-ওভার' ফিরিয়ে দিল খুলনা    

    খুলনা ১৫৮/৮, ২০ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৫৯, নাজমুল ২০, রুবেল ৩/৩৫)
    রংপুর ১৪৯/৬, ২০ ওভার (বোপারা ৫৯, নাহিদুল ৫৮, আফিফ ২/৪, জুনাইদ ১/২০)
    ফল : খুলনা ৯ রানে জয়ী 


    দুইজন সেট ব্যাটসম্যান। ১০০ রানের জুটি, দুজনই করেছেন ফিফটি। ১৮ বলে ৩৫ রানের সমীরকরণটা তবুও মেলাতে পারলেন না নাহিদুল ইসলাম ও রবি বোপারা। পারলেন না মূলত জুনাইদ খানের অসাধারণ ‘ডেথ-বোলিং’-এর কারণেই। ১৮তম ওভারে এই পেসার দিয়েছেন ৬ রান, শেষ ওভারে ৫ রান। সঙ্গে আবার এলো দুইটি উইকেটও। এবার আর প্রত্যাবর্তনের কাব্য লেখা হলো না রংপুরের, শেষ পর্যন্ত আঁকড়ে থেকে ম্যাচ জিতে গেল খুলনাই! 

    ১৬০ রানের লক্ষ্যে ম্যাককালামকে ঠিক স্বরুপে দেখা গেল না আজও, আফিফের বলে জোরের ওপর মারতে গিয়ে লং-অনে দিলেন সহজ ক্যাচ। গেইল যেন আবু জায়েদের সঙ্গে দ্বৈরথে মাতলেন। দুই চার এক ছয়ের পর সেখানে জয়ী বোলারই, গেইলও শেষ সেখানেই। এরপর মিঠুনের ‘ব্রেন-ফেড’। ব্র্যাথওয়েটের হাতে দিয়েই দৌড় দিলেন, দৃষ্টিসীমায় থাকা এক স্টাম্পই তিনি ভাঙলেন অসাধারণ ক্ষীপ্রতায়। 

    আফিফ নিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওভারে এসে নিলেন ফজলে রাব্বির উইকেট। ২ ওভারে ৪ রান দিয়েও আফিফ বোলিং পেলেন না আর! ৮ ওভারে ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেই, রংপুর তখন ধুঁকছে। 

    রংপুরকে সেখান থেকে টেনে তুললেন নাহিদুল ও বোপারা। জুনাইদের বোলিংয়ের আগেও জয়টা ছিল নাগালের মাঝেই, তাদের জুটিই রেখেছিল সেটা। বেশ কয়েকটা আলগা বলে হিট করার সুযোগ মিস করেছেন নাহিদুলরা। রংপুরের ব্যাটিংয়েরও তাই দুইটি ভাগ। নাহিদুল-বোপারার জুটি একটি, আর বাকি অংশ। 

    যেমন খুলনা টাইটানসের ইনিংসে দুইটা ভাগ। এক- মাহমুদউল্লাহ। দুই- বাকি সবাই। 

    ২৪ রানে ২ উইকেট যাওয়ার পর নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। রুবেলের বলে ম্যাককালাম-নাহিদুলের ‘পার্টনারশিপ’ ক্যাচে আউট হওয়ার সময় খুলনার রান ১৩০, বাকি ২০ বল। সে ২০ বলে খুলনা তুলেছে ২৮ রান। এর আগে মাহমুদউল্লাহ হয়ে গেছেন বিপিএলে ১৩০০ রান পূর্ণ করা প্রথম ব্যাটসম্যান। 

    প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন সোহাগ গাজি। রাইলি রুশো তাকে ছয় মারার পরই হয়েছেন বোল্ড। আফিফকে বোল্ড করেছেন রুবেল। নাজমুল হোসেন টিকে ছিলেন, তবে অধিনায়কের সঙ্গে জুটিটা ঠিক জমেনি বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দলের অধিনায়কের। মাশরাফির স্লোয়ারে ধোঁকা খেয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট মিড-উইকেটে দাঁড়ানো রুবেলের হাতে। 

    গল্পটা তার আগে থেকেই মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। অসাধারণ টাইমিংয়ে ফ্লিক করে চার মেরে শুরু, সব মিলিয়ে ৬ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। এর মধ্যে সেরাটি এসেছে আগের ম্যাচে রংপুরের জয়ের নায়ক থিসারা পেরেরার বলে, ইনসাইড-আউটে মেরেছেন ছয়। ৩৬ বলে করেছেন ৫৯। 

    পুরান, আরিফুল বা ব্র্যাথওয়েট, খুলনার হয়ে শেষের ঝড়টা তুলতে পারেননি কেউই। তিনজন আউট হয়েছেন তিনজনের বলে, মালিঙ্গা, রুবেল ও পেরেরা।