• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টাই' অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মূলমন্ত্র

    'স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টাই' অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মূলমন্ত্র    

    সামনে থেকে পথ দেখানোর কথাটা অধিনায়কদের ক্ষেত্রে অতি ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে গেছে। তবে প্রসঙ্গ যখন বিপিএল আর অধিনায়ক যখন মাহমুদউল্লাহ, তখন কথাটা প্রতিবারই যেন প্রাসঙ্গিক। গত মৌসুমে শুরুতে শেষ ওভারে বল হাতে একাই দুই ম্যাচ জিতিয়েছিলেন, পরে আলো ছড়িয়েছিলেন ব্যাটে। এবার ক্যাপ্টেনস নকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন সামনে থেকে। তবে নিজের পারফরম্যান্সের চেয়েও মাহমুদউল্লাহ বোধ হয় বেশি গর্ব করবেন আরিফুল, আফিফদের মতো স্থানীয়দের প্রেরণা দেওয়ার জন্য। আজ রংপুরের সঙ্গে আরেকটি জয়ের শেষে জানালেন, স্থানীয়দের স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে দেওয়াটাই তাঁর অধিনায়কত্বের মূলমন্ত্র।

     

     

    দুই বছর বরিশালের হয়ে অধিনায়কত্বে আলো ছড়িয়েছিলেন। গত বছর সেটার পুনরাবৃত্তি করতে না পারলেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ। এবার এখন পর্যন্ত বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রান তাঁর। তবে তার চেয়েও বড় কথা, নিজের অধিনায়কোচিত প্রজ্ঞার ছটা এবার যেন আরও বেশি, সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে যেন আরও বেশি সপ্রতিভ। আজ যেমন রংপুরের সঙ্গে বোলারদের ব্যবহার করলেন দারুণ। শুরুতে আফিফকে আনার ফাটকাটা কাজে এসেছে, তুলে নিয়েছেন ম্যাককালামকে। পরে আরেক বার আনার পর আউট হয়েছেন ফজলে রাব্বী। কিন্তু দুই ওভারে আফিফ চার রান দিয়ে দুই উইকেট পাওয়ার পরও আর বল দেননি। আরেক তরুণ তানভীরও আজ বিপিএল অভিষেকে দুই ওভারে নয় রান দেওয়ার পরও পরে বল করাননি। দুজনেই বয়সে নবীন হলেও পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েছেন দারুণভাবে। আরিফুল হক তো আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলার পর আজও ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন। মাহমুদল্লাহ বলছেন, স্থানীয়দের সবসময় স্বাধীনতা নিয়ে খেলার জন্যই প্রেরণা দিয়েছেন।   

    ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যদি আপনি স্বাধীনতা নিয়ে না খেলেন, তবে পারফর্ম্যান্স করার সম্ভাবনা কমে যায়। অধিনায়ক হিসেবে আমি ওদেরকে স্বাধীনতা দেয়ার চেষ্টা করি। যাতে মন খুলে খেলতে পারে, চাপ নেয়ার দরকার নেই। ব্যর্থতার ভয় যদি কারো মধ্যে কাজ করে, তবে পারফর্ম করার সুযোগ কমে যায়। আমার তরফ থেকে তাই চেষ্টা করি যতোটা সাহস দেয়া যায়, তা দেওয়ার।’

    নিজে রান করছেন, সেটা মনে করিয়ে দেওয়া হলেও মাহমুদউল্লাহ যেমন বার বার সতীর্থদের কথাই বললেন, ‘আমি রান করতে পারছি, দলের জন্য অবদান রাখতে পারছি, এটা বড় ব্যাপার, ভালো লাগছে। এখন তো অনেক স্থানীয় ক্রিকেটাররা এখন পারফর্ম করছে। পরিস্থিতি পড়তে পারছে। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। আফিফ খুব ভালো বোলিং করেছে, সে খুব বড় সম্পদ। সামনের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’

    অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মাঠের মতো মাঠের বাইরেও যেন হয়ে উঠছেন আরও বেশি পরিণত!