• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রাজশাহীকে পাত্তা না দিয়ে শীর্ষে খুলনা

    রাজশাহীকে পাত্তা না দিয়ে শীর্ষে খুলনা    

    খুলনা ২১৩/৫, ২০ ওভার (পুরান ৫৭, আফিফ ৫৪*, শান্ত ৪৯, ব্র্যাথওয়েট ৩৪, সামি ১/২২)
    রাজশাহী ১৪৫ অল-আউট, ১৯ ওভার (রনি ৩৬, মিরাজ ২৯, শফিউল ৫/২৬)
    ফল : খুলনা ৬৮ রানে জয়ী 


    শান্ত-আফিফ-পুরান-ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটিং ঝড়ের পর শফিউলের পাঁচ উইকেটে খুলনার কাছে পাত্তাই পেলো না রাজশাহী! এ আসরে তিনবার প্রতিপক্ষ ২০০ পেরুলো রাজশাহীর সঙ্গে। সিলেট সিক্সারস, ঢাকা ডায়নামাইটসের পর আজ খুলনা টাইটানস। তিনবারই হারলো রাজশাহী। ঢাকার মতো এ ম্যাচেও হারের ব্যবধান ৬৮ রান! আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে টাইটানসরা।  

    ২১৪ রানের লক্ষ্যে রাজশাহীর শুরুটা যেমন হওয়ার দরকার ছিল, হলো তার ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত। ১৩ রানের মাঝেই নেই দুই ওপেনার। এক ওভারেই মুমিনুল ও রাইটকে ফিরিয়ে নিজের ফিরে আসার শুরুটা দারুণ করলেন শফিউল। 

     

     

    রনি তালুকদার ও জাকির হাসান এরপর চেষ্টা করলেন খানিকটা। দুজনের ৫৫ রানের জুটি ভাঙলো আবু জায়েদের বলে, কাউ কর্নারে ক্যাচ দিলেন রনি। পরের বলেই লং-অনে ক্যাচ দিলেন জাকির, হ্যাটট্রিকে সম্ভাবনাও তৈরী করলেন আবু জায়েদ। সেটা হয়নি। 

    যেমন ফলপ্রসূ হয়নি মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সামির ব্যাটিং-ও। মুশফিক ও ড্যারেন স্যামির গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পর মোহাম্মদ সামির উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন শফিউল। এক ওভার বাকি থাকতেই বিশাল ব্যবধানের পরাজয় নিশ্চিত করেছে রাজশাহী। ক্যাচ মিস না করলে খুলনা ম্যাচটা জিততে পারতো আরও আগেই। 

    এর আগে ব্যাটিংয়ে খুলনার একমাত্র আক্ষেপ বলতে বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর না গড়তে পারা। সুযোগ পেয়েও ২০১৩ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের ২১৭ রানের স্কোর টপকাতে পারেনি টাইটানসরা, তবে ঠিকই গড়েছে এ আসরে সর্বোচ্চ স্কোর। 

    শুরুতে শান্ত ও আফিফ, মাঝে আফিফ ও পুরান, শেষে ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে আফিফ। খুলনার ইনিংসের হাইলাইটস। এ চারজন ঝড় তুলেছেন বিভিন্ন মাত্রায়। 

    শুরুটা হয়েছিল জাকির হাসানের অসাধারণ এক ফিল্ডিংয়ে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে বল তুলে সরাসরি নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো, রাইলি রুশো রান-আউট। এরপরই শান্তর সঙ্গে আফিফের জুটি, ৪৫ রানের। জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের ব্যাক অব আ লেংথের বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে শান্ত মিস করলেন ফিফটি, এক রানের জন্য। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংসই গড়ে দিল খুলনার ইনিংসের ভিত। তবে এক বল পরই বোল্ড মাহমুদউল্লাহ, খুলনার ব্যাটিং এরপর যেন ঝিমিয়ে পড়লো একটু। 

    অবশ্য সেটা ক্ষণিকের জন্য। নিকোলাস পুরান সেটা ভুলিয়ে দিলেন, সঙ্গে থাকলেন আফিফও। শান্ত না পারলেও ক্যারিবীয় পুরান ফিফটি পেলেন। ৬ চার ও ৩ ছয়ে করলেন ২৬ বলে ৫৪। ব্র্যাথওয়েট এলেন, শুরু করলেন ‘পাগলাটে’ ব্যাটিং। ব্যাটের লাইন বল অনুসরণ করলো খুব কমই, তবুও ৩টি করে চার ও ছয়ে ১৪ বলে ৩৪ করলেন ব্র্যাথওয়েট। 

    একটু ভিন্ন ধাঁচের ইনিংস খেললেন আফিফও। ৫টা ছয় মেরেছেন, চার নেই একটিও। আড়াআড়ি খেলেছেন বেশিরভাগ, তবে টাইমিং ছিল অসাধারণ। ছয় মেরেই পূর্ণ করেছেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। অপরাজিতও ছিলেন শেষ পর্যন্ত। 

    খুলনার ব্যাটিং ঝড়ে তাই ঝড় বয়ে গেছে রাজশাহীর বোলারদের ওপর। মুস্তাফিজুর দিয়েছেন ৪ ওভারে ৪৮, ফ্র্যাঙ্কলিন দিয়েছেন ৫০। ব্যতিক্রম শুধু সামিই, ৪ ওভারে দিয়েছেন ২২ রান।